জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলার আহ্বান
ঢাকা জার্নাল: মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত রাষ্ট্রে মুক্তবুদ্ধির মানুষ ও নাগরিক সমাজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলার আহ্বান জানিয়েছেন বিশিষ্ট নাগরিকরা।
শুক্রবার (২০ মার্চ) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আরসি মজুমদার মিলনায়তনে আয়োজিত এক নাগরিক সমাবেশে এ আহ্বান জানান তারা। লেখক-ব্লগার অভিজিৎ রায় স্মরণে নাগরিক কমিটির ব্যানারে এ সভার আয়োজন করা হয়।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস প্রফেসর ড. আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন সাবেক ডেপুটি স্পিকার শওকত আলী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নূহ-উল আলম লেনিন, অভিজিৎ রায়ের বাবা অধ্যাপক ড. অজয় রায়, সাংবাদিক আবেদ খান, ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য প্রমুখ।
রাষ্ট্র মৌলবাদীদের সঙ্গে আপস করছে অভিযোগ করে আবেদ খান বলেন, প্রয়োজনে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আমাদের আবার মুক্তিযুদ্ধ করতে হবে। তা না হলে রাষ্ট্র নাগরিক সংকটে পড়বে।
আবেদ খানের এ অভিযোগের জবাবে নূহ-উল আলম লেনিন বলেন, জঙ্গিবাদের সঙ্গে কেউ আপস করছে না। আমাদের বিচার ব্যবস্থার ধীরগতির কারণেই এ ধরনের হত্যাকাণ্ডগুলোর বিচারে দীর্ঘসূত্রিতা তৈরি হচ্ছে।
সাবেক ডেপুটি স্পিকার শওকত আলী বলেন, যারা এ রকম নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটাতে পারে তারা জাতি ও মুক্তিযুদ্ধের শত্রু। তাদের প্রতিহত করা ছাড়া কোনো উপায় নেই।
অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক বলেন, অভিজিৎ রায়ের একমাত্র অপরাধ ছিল, তিনি একজন মুক্তচিন্তার মানুষ ছিলেন। এ জন্যই তাকে এরকম নির্মম হত্যার শিকার হতে হলো।
এসব জঙ্গিবাদকে কঠোরভাবে প্রতিহত করতে না পারলে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আরও ঘটতে পারে বলেও আশঙ্কা তার।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, আমাদের পক্ষে মুক্তভাবে কথা বলা সম্ভব হবে না যদি সম্মিলিতভাবে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আমরা সোচ্চার হয়ে তাদের প্রতিহত না করি।
তবে এতোকিছুর পরও অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের বিচারের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তার বাবা অধ্যাপক অজয় রায়।
সভার শুরুতে ‘চিন্তার জবাব যখন চাপাতি’ শীর্ষক একটি প্রবন্ধ পাঠ করেন ঢাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, সিপিডির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
এরআগে বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন অভিজিতের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
ঢাকা জার্নাল, মার্চ ২০, ২০১৫