ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ, শিক্ষকের যাবজ্জীবন
মাদ্রাসা পড়ুয়া অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে (১৩) অপহরণ করে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মো. জাহাঙ্গীর আলম (৩২) নামে এক গৃহ শিক্ষককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল কুড়িগ্রামের বিচারক এস এম নুরুল ইসলাম এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আব্দুর রাজ্জাক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সাজাপ্রাপ্ত জাহাঙ্গীর আলম যশোর জেলার মণিরামপুর থানার ভরতপুর গ্রামের আব্দুল গণি সরদারের ছেলে। ২০১৫ সালে তিনি কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার উত্তর তিলাই এলাকায় একটি বাড়িতে গৃহ শিক্ষক হিসেবে থেকে এলাকার শিশুদের কোরআন শিক্ষা দিতেন। ওই সময়ে তার বিরুদ্ধে অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া এক ছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়। ওই শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে ভূরুঙ্গামারী থানায় মামলা করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, জাহাঙ্গীর আলম গৃহ শিক্ষক হিসেবে কোরআন শিক্ষা দেওয়ার সময় ওই শিক্ষার্থীকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। বিষয়টি শিক্ষার্থী তার মাকে জানালে জাহাঙ্গীরকে সতর্ক করা হয়। ২০১৫ সালের ২ এপ্রিল ওই শিক্ষার্থী মাদ্রাসা গেলে ছুটির পর জাহাঙ্গীর তাকে বিয়ের কথা বলে ‘ফুসলিয়ে’ মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যান। খোঁজাখুঁজির পর পাওয়া না গেলে ভুক্তভোগীর মা থানায় গিয়ে অপহরণের মামলা করেন। পরে একই বছর ১৮ জুন পুলিশ গাজীপুর থেকে ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে এবং জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে।
আদালত সূত্র জানিয়েছে, জামিনে থাকা জাহাঙ্গীর আলম মামলা চলাকালে নিয়মিত আদালতে উপস্থিত থাকলেও রায় ঘোষণার খবরে বুধবার আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তার অনুপস্থিতিতে আদালত রায় ঘোষণা করেন।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি আব্দুর রাজ্জাক এবং আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ইয়াসিন আলী।