ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ সংক্রান্ত বুয়েটের বিজ্ঞপ্তি হাইকোর্টে স্থগিত
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করে জারি করা বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। এর ফলে বুয়েটে রাজনীতি চলতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। একইসঙ্গে রুল জারি করেছেন আদালত।
এ সংক্রান্ত রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার (১ এপ্রিল) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক।
এর আগে সকালে বুয়েটের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ রহিম রাব্বি রিটটি দায়ের করেন। রিটকারীর আইনজীবী হলেন ব্যারিস্টার হারুনুর রশিদ। রিটে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিব, বুয়েটের ভিসিসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর বুয়েটের তৎকালীন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নির্যাতনে শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ নিহত হন। এর প্রতিবাদে বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামেন। এরপর ২০১৯ সালের ১১ অক্টোবর বুয়েটে সব রাজনৈতিক সংগঠন এবং এর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বুয়েট কর্তৃপক্ষ। ইমতিয়াজের রিটে এই বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়।
এর আগে গত ২৭ মার্চ দিবাগত রাত ১টার দিকে ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতাদের নেতৃত্বে বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী। এর প্রতিবাদে শুক্রবার আন্দোলনে নামেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধসহ ৬ দফা দাবি পেশ করেন।
দাবির পর বুয়েটে প্রশাসন শিক্ষার্থীদের আংশিক দাবি মেনে নিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. ফোরকান উদ্দিন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম রাব্বির হলের সিট বাতিল, তদন্ত কমিটি গঠন ও তদন্ত অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং পরীক্ষাসহ সব একাডেমিক কার্যক্রম চলমান থাকার কথা জানানো হয়।
এদিকে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়ার পর বুয়েটে এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে নতুন করে রাজনীতি শুরুর পাঁয়তারা হিসেবে দেখছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। যার প্রেক্ষিতে ক্যাম্পাসে পুনরায় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হওয়া ও নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তারা আন্দোলন শুরু করেন।