আন্তর্জাতিক

চীনকে জাপানের শক্তি প্রয়োগের হুমকি

japanঢাকা জার্নাল: পূর্ব চীন সাগরে কয়েকটি দ্বীপের মালিকানা নিয়ে জাপান ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিঞ্জো আবে সমুদ্রসীমা লঙ্ঘনের বিষয়ে চীন সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলেছেন, বিরোধপূর্ণ দ্বীপপুঞ্জে যাওয়ার চেষ্টা করলে চীনের সরকারি জাহাজগুলোর ওপর শক্তি প্রয়োগ করা হবে।

বর্তমানে সেখানে চীনের আটটি জাহাজ এবং দক্ষিণ পন্থী একটি গ্রুপের কিছু সদস্য বহনকারী দশটি জাপানি মাছ ধরার নৌকা অবস্থান করছে।

দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে চীন এবং জাপানের বিরোধ বহু পুরোনো। বিতর্কিত এই দ্বীপগুলো জাপানে সেনকাকু দ্বীপপুঞ্জ বলে পরিচিত, আর চীনে এগুলোকে বলা হয় দিয়াইয়ো।

এই পুরোনো বিরোধ নিয়ে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দেয় গত বছর, যখন জাপান সরকার তিনটি বেসরকারি মালিকানাধীন দ্বীপ কিনে নেয়। এসব দ্বীপের ওপর শুধু চীন নয়, তাইওয়ানও তাদের অধিকার আছে বলে দাবি করে।

তবে বিতর্কিত দ্বীপগুলোকে ঘিরে এশিয়ার দুই বৃহৎ শক্তির মধ্যে এরকম সামরিক উত্তেজনার নজির সাম্প্রতিক সময়ে নেই।

জাপানী প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে পার্লামেন্টে বেশ কড়াভাবেই চীনকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। চীনের জাহাজ বিতর্কিত দ্বীপে নামার চেষ্টা করলে কী করবেন, এ প্রশ্নের উত্তরে শিনজো আবে বলেন, “জাপানের জলসীমায় যে কোন অনুপ্রবেশ, বা জাপানের মাটিতে যে কোন অবতরণের চেষ্টা কঠিন হাতে প্রতিহত করা হবে।”

তিনি বলেন, ক্ষমতায় আসার পর এ বার্তা তারা চীনের কাছে নিশ্চিত করেছেন।

আটটি চীনা টহল জাহাজ সোমবার এই দ্বীপগুলোর কাছাকাছি যায়।

এর পাল্টা দশটি জাপানী নৌযানও সেখানে গেছে। এসব নৌযানে রয়েছে কট্টর ডানপন্থী জাপানী রাজনৈতিক কর্মীরা।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, জাপানের এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন এবং দক্ষিণ চীন সাগরে তা সমস্যা তৈরি করবে।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.