‘চালচোর’দের সাময়িক বরখাস্ত ও ফৌজদারী আইনে ব্যবস্থা

এপ্রিল ১১, ২০২০

ওএসএসএর চাল ‘চোর’দের বিরুদ্ধে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণার পর এবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ত্রাণের চাল ‘চোর’দের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ জারি করেছে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে—জড়িত জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাময়িক বরখাস্ত এবং ফৌজাদারী আইনে মামলা করা হবে।  সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট প্রমাণসহ স্থানীয় সরকার বিভাবে প্রতিবেদন পাঠাতেও নির্দেশ দেওয়া হয় আদেশে।

শনিবার (১১ এপ্রিল) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এই আদেশ জারি করে।

এর আগে দুপুরে খাদ্য মন্ত্রণালয় ওএমএসের চাল কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদেরকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি প্রয়োগের নির্দেশ দেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্দেশনায় বলা হয়, বাংলাদেশে করোনাভাইরারে কারণে শহর ও গ্রামে বিপুল সংখ্যক মানুষের আয় রোগারের পথ বন্ধ হয়ে পড়েছে। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে সকল ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের খাদ্য সহায়তা হিসেবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দফতর/সংস্থা এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো নিজস্ব অর্থায়নে ত্রাণ কার্যক্রম-যেমন চাল, নগদ অর্থ, শিশু খাদ্য ও অন্যান্য সামগ্রী বিতরণ করছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ও অনুশাসনের আলোকে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের জনপ্রতিনিধি এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তৃণমূল পর্যায়ে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণে সরাসরি সম্পৃক্ত হয়েছেন। কিন্তেু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে জানা যায় যে কোথাও কোথাও জনপ্রতিনিধি ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ত্রাণ বিতরণে অনিয়ম-দুর্নীতিতে জজিয়ে পড়েছেন।

এরূপ অনয়িম ও দুর্নীতিতে জড়িত জনপ্রতিনিধি ও কির্মকর্তা-কর্মচারীদের সাময়িক বরখাস্ত করা এবং তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রজুসহ কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকরা অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণসহ প্রতিবেদ তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয় আদেশে।

দুপুরে সব জেলা প্রশাসক ( ডিসি) ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের (আরসি ফুড) কাছে পাঠানো চিঠিতে খাদ্যমন্ত্রী খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার নির্দেশনা দেন। চিঠিতে মন্ত্রী বলেন, ইদানিং  কিছু পত্রপত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে জানা যাচ্ছে যে  কতিপয় ব্যক্তি ওএমএসের  চাল কালোবাজারে বিক্রি করছে। যা এই কর্মসূচিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।   ইতোমধ্যে দেশের কয়েকটি জায়গায় ওএমএসের চালসহ কয়েকজন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরাও পড়েছে।

চিঠিতে খাদ্যমন্ত্রী খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি/ওএমএস কার্যক্রমে যে কোন প্রকার অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে কঠোর শাস্তি প্রয়োগ করার  নির্দেশ দেন।