গোয়েন্দা সেলে নতুনবার্তার দুই সংবাদকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ !
ঢাকা: বোমা বিস্ফোরনের সাথে জড়িত শিবির সন্দেহে নতুনবার্তা ডটকমের দুই সংবাদকর্মীকে আটক করা হলেও শনিবার বিকেল পর্যন্ত তাদের ছেড়ে দেয়নি গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তাদেরকে গোয়েন্দা সেলে জিঞ্জাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ।
শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের ডাকা নারী সমাবেশে বোমা বিস্ফোরণের পর তাদের আটক করা হয়। ঘটনার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাদের শিবির সন্দেহে আটক করে। থেকে তাদের স্টাফ রিপোর্টার ইমদাদুল হক ও কাজী মুস্তাফিজকে আটক করা হয়।
এ বিষয়ে এর আগে নতুন বার্তা জানিয়েছে, শুক্রবার বিকেল চারটা ৫০ মিনিটে গণজাগরণ মঞ্চের কাছাকাছি দুটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। বিস্ফোরণের পর প্রত্যক্ষদর্শীরা বলতে থাকেন, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেন্টাল অনুষদের পাঁচতলা থেকে দুটি ককটেল ছুড়ে মারা হয়েছে। এরপর বিক্ষুব্ধ জনতা ওই ভবনের পাঁচতলায় ছুটে যায়। তাদের সঙ্গে নতুন বার্তা ডটকমের স্টাফ রিপোর্টাররাও সেখানে যান। পরে সেখান থেকেই তাকে আটক করা হয়। আর মুস্তাফিজকে খুঁজতে গিয়ে আটক হন ইমদাদুল।
নতুন বার্তার সম্পাদক সরদার ফরিদ আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, বিকেল থেকেই গণচাগরণ চত্বরের খবর সংগ্রহ করছিলেন এই দুই সাংবাদিক। ককটেল বিষ্ফোরণের পরেও তাদের পাঠানো রিপোর্টটি নতুন বার্তা ডটকমে লিড নিউজ হিসেবে প্রকাশিত হয়। তারা শিবির কর্মী হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।”
তিনি জানান, সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে আইডি কার্ড দেখানোর পরও কাজী মুস্তাফিজকে বের হতে দেওয়া হয়নি। পরে তার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগও করা যাচ্ছিল না। পরে রাত সোয়া আটটার দিকে কাজী মুস্তাফিজকে খুঁজতে নতুন বার্তা ডটকমের আরেক স্টাফ রিপোর্টার ইমদাদুল হক বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচতলায় ওঠেন। পুলিশ তাকেও আটক করে তাদের দুইজনকে ডিবি অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গোয়েন্দা পুলিশের এক উর্ধতন কর্মকর্তা জানান, বোমা বিস্ফোরনের আগে থেকেই তারা ভবনে অবস্থান করছিলো। তাই প্রাথমিকভাবেই তাদেরকে শিবির সন্দেহে আটক করা হয়েছে। ওপরমহল থেকে তাদের ছেড়ে দেয়ার ব্যাপারে চাঁপ আসলেও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার কারনে তাদের এ মুহূর্তেই ছেড়ে দেয়া হচ্ছে না। পূর্ণাঙ্গভাবে জিজ্ঞাসাবাদ পরেই ছেড়ে দেয়া হবে বলে জানান তিনি।