গোপালিরা এখন ক্রেনে
ঢাকা জার্নাল : সরকারকে উদ্দেশে ১৯-দলীয় জোটের নেতা ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, গোপালিরা এখন ট্রেনে নয়, ক্রেনে আছে। কারণ ওরা যে ট্রেনে চড়েছে সেটা এখন ক্রেন দিয়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমাস প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা গোপালি তারা নাকি কপালি। বিএনপি নাকি ট্রেন মিস করেছে। তারা সঠিক ট্রেনে উঠেছে। কিন্তু তাদের ট্রেনটা লাইন থেকে পড়ে গেছে। এই ট্রেন ওঠানোর জন্য এখন ক্রেনের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।
রবিবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম আয়োজিত ‘ঢাকার আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত মো. মহসীন মিয়া-মো. মোসলেউদ্দিন জসীম প্যানেলের কর্মকর্তাদের সংবর্ধনা’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারকে উদ্দেশে খালেদা জিয়া আরও বলেন, আপনাদের এখন উচিত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে যে কুকুরটি ভোটকেন্দ্রে ছিল সেটাকে খুঁজে বের করে পুরুস্কৃত করা। কারণ দেশের জনগণ আপনাদের ভোট দেয়নি। ভোটকেন্দ্র জনগণ নয়, গিয়েছে শুধু কুকর।
তিনি বলেন, আমরা বিদেশিদের কাছে ধরনা দিচ্ছি না, ধরনা দিচ্ছে আওয়ামী লীগ, অবৈধ সরকারকে বৈধতা দিতে। সারা বিশ্ব বলছে, বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হয়নি।
সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, সামনে আরও তিনটি উপজেলা নির্বাচন আছে, জোর করে নির্বাচনের ফল নিজেদের পক্ষে নেয়া বন্ধ করুন। এখনো সময় আছে, দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিন। জনগণ নির্বচনের অপেক্ষায়। জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিতে যত দেরি করবেন তত আপনাদের জন্য ক্ষতি।
প্রশাসন প্রসঙ্গে বেগম জিয়া বলেন, পুলিশ-র্যাবকে আওয়ামী লীগ তাদের দলীয় কর্মী বাহিনীতে পরিণত করেছে। বাংলাদেশে এখন কোনো প্রশাসন নেই, আছে দলীয়করণ। এখন মেধার কোনো মূল্য নেই, আওয়ামীকরণের মূল্য আছে। বিচার বিভাগ বন্দি হয়ে আছে। সরকার যে নির্দেশ দিচ্ছে বিচারপতিরা তা পালন করতে বাধ্য হচ্ছেন।
তিনি বলেন, সারা দেশে আওয়ামী লীগের কর্মীরা দুর্নীতি করে বেড়াচ্ছে। এরা হলমার্ক, ডেসটিনি, ব্যাংক, শেয়ারবাজার, পদ্মা সেতু দুর্নীতি করে দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিয়েছে। আওয়ামী লীগ দুর্নীতিগ্রস্ত অবৈধ সরকার।
নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, আমরা নির্বাচনে না গিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে জনগণ দেখিয়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো সুষ্ঠ নির্বাচন হতে পারে না।
সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে খালেদা বলেন, এই সরকার দেশের মানুষকে বিদ্যুৎ, গ্যাস দিতে পারছে না, বরং বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে। তাদের যদি জনগণের প্রতি সামান্য সম্মান, মমতা থাকে তাহলে বিদ্যুতের দাম বাড়াবে না। বিদ্যুতের দাম বাড়ালে সব পণ্যের দাম বাড়বে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, অ্যাভোকেট জয়নুল আবেদিন, চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, দলের যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার প্রমুখ।
ঢাকা জার্নাল, মার্চ ৯, ২০১৪।