গাজায় থামছে না বিমান হামলা, সীমান্ত শত্রুমুক্তের দাবি ইসরায়েলের
গাজার সশস্ত্র গোষ্ঠীর শত শত সদস্যদের নিষ্ক্রিয় করে ইসরায়েলের সীমান্ত নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার দাবি করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ)। শনিবার দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্ত হয়ে গোয়েন্দা নজরদারি এড়িয়ে ঢুকে পড়েছিল হামাসের যোদ্ধারা।
আইডিএফের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট রিচার্ড হেচট মঙ্গলবার ব্রিফিং-এ জানিয়েছেন, সীমান্তের কাটাতারের বেষ্টনী কমবেশি পুনরুদ্ধার করেছি আমরা। আশা করি আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এর সমাপ্তি ঘটবে।
ইসরায়েলি বাহিনী গাজা সীমান্তের আশপাশের এলাকা নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি উচ্ছ্বেদ কার্যক্রম প্রায় শেষ করে এনেছে। গত রাতে দুইটি কমিউনিটিতে সামান্য গোলাগুলি হয়েছিল বলেও জানান তিনি। আরও বলেন, গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে।
ইসরায়েলি বিমানবাহিনী মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) সকালের দিকে জানায়, গত রাতে তারা গাজার ২০০ স্থানে হামলা চালিয়েছে।
গত শনিবার থেকে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজার অন্তত ৭০০ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে বলে জানায় স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। গাজা উপত্যাকার ওপর সোমবার নেতানিয়াহু সরকারের সর্বাত্মক অবরোধ আরোপের পর হামলা আরও বেড়েছে। এতে ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়েছে অবরুদ্ধ গাজা।
গাজা উপত্যকায় প্রায় ২৩ লাখ মানুষের বাস। এর মধ্যে ৮০ শতাংশ বিভিন্ন সংস্থার ত্রাণের ওপর নির্ভরশীল। অঞ্চলটির আকাশসীমা ও উপকূল নিয়ন্ত্রণ করে ইসরায়েল। দেশটিই নির্ধারণ করে কোন কোন পণ্য এখানে প্রবেশ করবে। সীমান্তবর্তী মিসরও কঠোরভাবে নজরদারি জারি রাখে।
নতুন করে সর্বাত্মক অবরোধ আরোপে গাজায় বিদ্যুৎ, পানি, জ্বালানি ও খাদ্য সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণায় জানিয়েছে ইসরায়েল। আর এটি বাস্তবায়ন হলে অল্প সময়ের মধ্যেই এসব যোগান ফুরিয়ে আসবে।
সূত্র: সিএনএন, বিবিসি