খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে হামলার আসামি দলের প্রার্থী
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে হামলা সংক্রান্ত মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি জাহাঙ্গীর কামালের হাতে ধানের শীষ প্রতীক তুলে দিয়েছে দলটির নেতারা। চেয়ারপারসনকে না জানিয়ে বিশাল আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে আসামিকে মনোনয়ন দেয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠেছে। ২০০১ সালে খুলনা সফরের সময় কাওড়াকান্দি ফেরিঘাটে খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে হামলায় দায়েরকৃত মামলার আসামি ছিলেন জাহাঙ্গীর কামাল। পরে মামলাটি রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রত্যাহার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জাহাঙ্গীর কামালকে মনোনয়ন দেয়ার ক্ষেত্রে তৃণমূলের মত উপেক্ষা করা হয়েছে। কেন্দ্রে দলীয় মনোনয়ন সংক্রান্ত বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা মেয়র প্রার্থী হিসেবে তার নাম চূড়ান্ত করেন। এ নিয়ে মাদারীপুর জেলা ও শিবচর বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ও হতাশার সৃষ্টি হয়েছে।
জানতে চাইলে জেলা বিএনপির সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক (আবু মুন্সী) জানান, শিবচর পৌর বিএনপির সভাপতি শফিকুল ইসলামকেই আমরা সমর্থন দিয়েছিলাম। কিন্তু কেন্দ্র থেকে জাহাঙ্গীর কামালকে মনোনয়ন দেয়া হয়।
শিবচর উপজেলা বিএনপির সভাপতি নাজমুল হুদা চৌধুরী (মিঠু) বলেন, শিবচর পৌরসভায় দলের চেয়ারপারসনের গাড়িবহরে হামলার আসামিকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। বিষয়টি জানানোর জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে তারা সময়ই দেননি। ক্ষোভ এবং হতাশা নিয়েই এলাকায় ফিরে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, দলে যার কোনো পদ নেই। বিগত আন্দোলনে তাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি এমন একজনকে ধরে এনে দলের মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। তারপক্ষে তৃণমূল নেতাকর্মীরা কতটা কাজ করবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য দলের চেয়ারপারসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এই নেতা।
দলের সমর্থন এবং মামলা প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীর কামাল বলেন, আমি সে ঘটনায় কোনোভাবেই জড়িত ছিলাম না। মামলার বাদী আবদুল মান্নান খানের সঙ্গে রাজনৈতিক বিরোধের কারণে আমাকে আসামি করা হয়েছিল। সে মামলা অনেক আগেই খালাস হয়ে গেছে। এছাড়া মামলার বাদী মান্নান খান বর্তমানে আমার সঙ্গেই রাজনীতি করেন।
এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের গাড়িবহরে হামলা মামলার আসামিকে পৌর নির্বাচনে দলের সমর্থন দেয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সংশ্লিষ্ট এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, যে কেউ ভুল করতেই পারে। ভুল করার পর ক্ষমা চেয়ে কেউ সঠিক পথে ফিরলে তাকে সুযোগ দেয়াও উচিত।