খালেদা জিয়ার জন্ম বৃত্তান্ত নিয়ে সংসদে তুলকালাম অপু উকিলের
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের বাজেট আলোচনায় দাঁড়িয়ে তিনি বিরোধী দলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়ার জন্ম ও বৈবাহিক রসালো বৃত্তান্ত তুলে ধরেন।জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবার নিয়ে বিষোদগারের জবাব দেন অপু উকিল।
বাজেট আলোচনা যেতে না পারার কথা বলে স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তার বক্তব্য শুরু করেন।
অপু উকিল বলেন, “পাকিস্তানের প্রখ্যাত লেখক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মাহমুদ সিদ্দিক সালেক একটি বই লিখেছিলেন। বইটির নাম ‘ওয়ার ইন নাইনটিন সিক্সটি ফাইভ পাকিস্তান এন্ড ইন্ডিয়া’। বইটির ওয়ান ফরটি ফাইভ পৃষ্ঠা থেকে কিছু অংশ পড়ছি।
অপু উকিল বলেন, “দার্জিলিংয়ের ‘লিপট অব’ চাবাগানের মালিক বৃটিশ বংশোদ্ভুত ইহুদি ধর্মাবলম্বী মিস্টার রবার্ট উইলসনের চা বাগানের রেস্ট হাউজের চাকরানীর কাজ করতেন বেগম খালেদা জিয়ার মা লক্ষ্মী রানী ওরফে তৈয়বা মজুমদার।
উইলসনের মদ ও নারীর প্রতি আসক্তি ছিল। তার চাকরানী থাকা অবস্থায় লক্ষী রানী গর্ভবতী হয়ে পড়লে এবং বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে উইলসনের দারোয়ান মুরলী মোহন মারমা ওরফে ইস্কান্দার মজুমদারের সঙ্গে বিয়ে হয় লক্ষী রানীর।
এ অবস্থায় চা বাগানের দায় মরিসন স্বপ্নার তত্ত্বাবধানে ১৯৪৫ সালের ১৩ আগস্ট জন্ম হয় খালেদা জিয়া ওরফে পুতুল রানীর।
১৯৫৭ সালে এই পরিবারটি দিনাজপুরের বাংলাবান্ধা হয়ে সেতাবগঞ্জের এক কৃষক বাড়িতে আশ্রয় নেয়। দিনাজপুরে তখন পাকিস্তানি খান সেনাদের হেড কোয়ার্টার ছিল।
জিয়াউর রহমানের জন্ম হয় পাকিস্তানে এবং করাচিতে তিনি বড় হন। উর্দ্দু জানার সুবাদে তার চাকরি হয়।
জিয়াউর রহমান ১৯৬০ সালে ফুর্তি করতে এসে ফেঁসে গিয়ে পুতুল রানীকে বিয়ে করেন এবং বিয়ের পর তার নাম রাখা হয় বেগম খালেদা জিয়া।
খালোদা জিয়ার প্রকৃত ইহুদি পিতার সঙ্গে তার চুলের রং, গায়ের রং খাদ্যাভাসের পুরোপুরি মিল রয়েছে মাননীয় স্পিকার। তিনি ইহুদির ওরষজাত সন্তান।
১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় খালেদা জিয়া ক্যান্টনমেন্টে পাকিস্তানী জেনারেল জানজুয়ার পরকিয়ায় মেতে উঠেছিলেন এবং জেনারেল জিয়া বিষয়টি জেনে খালেদা জিয়াকে মুক্ত এলাকায় যেতে বললেও তিনি জাননি মাননীয় স্পিকার।
লোকে বলে জানজুয়ার অবিকল চেহারাটি পেয়েছেন আরাফাত রহমান কোকো।
এছাড়া বিএনপির নেতৃত্বাধীন বিগত সরকারের সমালোচনা করেন অপু উকিল। এ সময় ডেপুটি স্পিকার শতকত আলী বাজেট প্রসঙ্গে ফিরে আসতে আহবান জানান।
অপু উকিলের এই বিষোদগারে এক পর্যায়ে বিরোদী দলীয় সংসদ সদস্যরা ওয়াক আউট করেন।