খালেদার প্রস্তাব দুই দলের দলবাজির
ঢাকা জার্নাল: বিরোধী দলীয় নেতা বেগম খালোদা জিয়ার আন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রস্তাব অগ্রহণযোগ্য, স্ববিরোধী, বাস্তবতা বিবর্জিত এবং অসাংবিধানিক হলেও এর মাধ্যমে সংলাপের পথ খুলেছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
মঙ্গলবার দুপুরে তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার অন্তবর্তীকালীন সরকারের রূপরেখার জবাবে এ মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, নির্দদলীয় সরকারের দাবি করা হলেও ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের বির্তকিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ১০জনকে নিয়ে অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রস্তাব দিয়ে খালেদা জিয়া মূলত দুই দলের দলবাজির সরকার কায়েম করতে চাচ্ছেন।
হাসানুল হক ইনু বলেন, বিরোধী দলীয় নেতা যে প্রস্তাব করেছেন, সেই ২০জন সাবেক উপদেষ্টার মধ্যে ৫জন বিরোধীদল মনোনয়ন দিবে। আর সরকার মনোনয়ন দেবে ৫জনকে। সে কারণে ১০ জন আর নিরপক্ষ থাকছেন না। দলীয় ব্যক্তি হয়ে যাচ্ছেন। তবে খালেদা জিয়ার প্রস্তাব যতই অবাস্তব ও অগ্রহণযোগ্য হোক এবং সংবিধান সম্মত না হলেও সংলাপের দরজা খোলা আছে।
খালেদা জিয়ার এই প্রস্তাব মানে হচ্ছে নির্বাচন ঝুলিয়ে দেওয়া, অনিশ্চয়তার পথে ঠেলে দেওয়া। এতে সংবিধান বদলাতে হবে।
খালেদা জিয়া অযতেœ, যেনতেনভাবে প্রস্তাব তৈরী করেছেন। প্রস্তাব তৈরীর সময় যতœবান ও দায়িত্ববান ছিলেন না।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার প্রস্তাবের ২০ জনের দু’দফায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ছিলেন ২জন। সে হিসেবে বাকি থাকছেন ১৮ জন। এর মধ্যে ২জন এই প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন। আর ৪জন মারা গেছেন। অবশিষ্ট ১২ জনের মধ্যে কয়েকজন শারীরিকভাবে অসুস্থ। আর বাকিরা আদোও এই প্রস্তাবে সম্মত হবেন কী না সন্দেহ রয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর গত ১৮ অক্টোবরে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে আলোচনা ও সমঝোতার প্রস্তাব স্পষ্ট। তার প্রস্তাবে সংবিধানের ভিত্তিত্বে করার সম্ভব। তার প্রস্তাবে কারা কারা মন্ত্রী হবেন, নির্বাচনকালে কারা দায়িত্ব পালন করবেন, মন্ত্রিসভার কে কোন দায়িত্ব নিবেন তা আলোচনা ভিত্তিতে হতে পারে।
প্রয়োজনে আলোচনা করে নির্বাচনকালীন সময়ের জন্য আইন কানুন পরিবর্তন করাও সম্ভব।
ঢাকা জার্নাল, অক্টোবর ২২, ২০১৩।