কোয়ারেন্টিন থেকে বাড়ি ফিরলেন ইতালি ফেরত আরও ৭ জন
গাজীপুরের কোয়ারেন্টিন কেন্দ্র থেকে দ্বিতীয় দফায় ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে ইতালি ফেরত আরও ৭ জনকে। করোনা ভাইরাস শনাক্ত না হওয়ায় বুধবার (১ এপ্রিল) সকালে তারা কাপাসিয়া উপজেলার পাবুর ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে নিজ নিজ বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। দেশে করোনা প্রতিরোধে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন থেকে বিদেশ ফেরতদের সুস্থ অবস্থায় বাড়ি ফেরার এটি দ্বিতীয় ঘটনা বলে জানিয়েছেন গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম।
এর আগে, সোমবার (৩০ মার্চ) গাজীপুর মহানগরের পূবাইল এলাকার ‘মেঘডুবি ২০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র’ থেকে ইতালি ফেরত ৩৬ জন ছাড়পত্র পেয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) এস এম তরিকুল ইসলাম জানান, গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার মা ও শিশু কল্যাণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ১৪দিন কোয়ারেন্টিনে ছিলেন তারা। এখান থেকে এলাকায় গিয়ে তারা যাতে কোনও হয়রানির শিকার না হন, সেজন্য সিভিল সার্জনের ছাড়পত্র ছাড়াও পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের ছাড়পত্র দেওয়া হয়। এখন থেকে তারা বাড়ি গিয়ে সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী চলাফেরা করবেন।
জেলা প্রশাসক আরো জানান, দেহে অস্বাভাবিক তাপমাত্রা থাকায় ৮ জনকে অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য দুদফায় রাজধানী উত্তরার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে একজনের দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় আইসোলেশনে রাখা হয়।
গাজীপুরের সিভিল সার্জন ডা. খায়রুজ্জামান জানান, পাবুরের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরবর্তীতে আসা আরও ২ জন বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। এই দুজনের মেয়াদ পূর্ণ হলে তাদেরও ছাড়পত্র দেওয়া হবে। এছাড়াও গাজীপুর কারাগারে একজন কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হবে।
তিনি আরও জানান, এখন পর্যন্ত জেলার কারও দেহে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়নি। তবে করোনা থেকে রক্ষা পেতে বুধবার পর্যন্ত জেলায় বিদেশ ফেরতসহ মোট দুই হাজার ৩৩৩ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে এবং ৪ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে এক হাজার ৯৮৭ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।