কে এই দেশপ্রেমিক?
ঢাকা জার্নাল গুজব ডেস্ক: সম্প্রতি দেশের সব টেলিভিশন চ্যানেল, পত্রিকাগুলোতে বাংলাদেশের একটি শীর্ষ টেলিকম প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন লক্ষ করা যাচ্ছে। বিজ্ঞাপনটিতে প্রশ্ন করা হচ্ছে, কে এই দেশপ্রেমিক? তবে, ‘কে এই দেশপ্রেমিক’ প্রশ্নটি শুধু বিজ্ঞাপনদাতা করলেও প্রশ্নটি আর তাদের মধ্যেই আবর্তিত থাকেনি। প্রশ্নটি এখন বাঙ্গালী জাতি ও তাদের বিবেকের।
জাতির প্রশ্নটিকেই প্রশ্নবিদ্ধ করতে সম্প্রতি ঢাকা জার্নালের একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদক দল
খুঁজতে বের হয়েছিল ‘কে এই দেশপ্রেমিক’। অনেকটা কেঁচো খুড়তে গিয়ে সাপ বের হবার মতই – অনুসন্ধানে বের হয়ে এসেছে কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। অনুসন্ধান দল সারা দেশ ঘুরে অবশেষে কয়েকজন দেশপ্রেমিকের সন্ধান পায়।
পর্ব ১:
আবুল হোসেন একজন দেশপ্রেমিক। দেশের প্রতি ভালবাসায় এই পাগলা ব্যক্তিটি নিজেকে দেশপ্রেমিক হিসেবেই দাবি করেন সর্বদা। কিছুদিন আগে তার দেশপ্রেমে মুগ্ধ হয়ে জনৈক দলপ্রধানও তাকে দেশপ্রেমিক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। কেন তিনি নিজেকে দেশপ্রেমিক মনে করেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “আই এম টোটালি এ অনেষ্ট পারসন, আই বিলিভ এভরি অনেষ্ট পারসন শুড বি কান্ট্রিলাভার ( দেশপ্রেমিক ), ইউ হ্যাভ টু সে আই এম ক্রান্টিলাভার। ইউ ক্যান সে আই এম এ ক্রান্টিলাবার ”
জানা যায়, প্রান হাতে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করে অনেকেই সামান্য মুক্তিযোদ্ধার খেতাব না পেলেও দেশপ্রেমিক খেতাব পাওয়া আবুল হাসান রাস্তাঘাট সম্পর্কিত একটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। কেন এই ব্যক্তিটি সত্যিকার অর্থে দেশপ্রেমিক এমন প্রশ্নের উত্তর দেন বসিলা ব্রিজের পাশবর্তী এলাকার মুদি দোকানদার ছামচু মিঞা।
ছামচু মিঞা বলেন, সরকার পদ্মা সেতুর ট্যাহা বিশ্বব্যাংক থেইক্কা নিলেও এই ট্যাকার দায় জনগনের উপরেই পরতো। দেশপ্রেমিক আবুইল্লা কুনমতেই এই বিষয়টা মাইন্না নিতে পারে নাই। তাই জনগনের উপরে ট্যাকার দায় জানি না পরে এইলেইগ্গা আবুল সাহেব ঋণ নেয়ার চুক্তির বিষয়টার একটা ‘সিস্টেম’ কইরা দিসে। অখ্খন পদ্মা সেতু নাইক্কা, জনগনের আর ট্যাকার দায় নাইক্কা। আপসোস, এই বিষয়টাই আমগো জাতি বুঝতে পারলো না!
যুদ্ধপরাধী দেলোয়ার হোসেন সাঈদি নিজেকে একজন দেশপ্রেমিক হিসেবেই দাবি করেন। ঢাকা জার্নাল গুজবের কাছে তিনি বলেন, “দেশ নিয়ে অনেকেই বড় বড় কথা বলেন। কিন্তু আমি ‘দেইল্লা’ হলফ করে বলতে পারি আমার মত দেশপ্রেমিক আপনি ইহকালে খুঁজলেও পাবেন না।”
তিনি যুক্তি দেখিয়ে বলেন বলেন, “ আমষ্ট্রং ৬ দশক আগে আমেরিকার পক্ষ থেকে রকেটে চাঁদে গিয়েছেন। রাশিয়াও চাঁদে লোক পাঠিয়েছে। বড় রাষ্ট্রগুলো যখন মঙ্গলগ্রহে মানুষ পাঠাচ্ছে তখন এটা খুবই লজ্জার বিষয় বাংলাদেশ থেকে কেউ অন্যগ্রহে পা রাখেনি। এটা আমাদের দেশের বিজ্ঞানীদের মস্ত বড় ব্যর্থতা। পাকিস্থান এটা নিয়ে আমাকে ব্যাক্তিগতভাবে ‘লজ্জা’ দেয়ার পরে বিষয়টা বোধগম্য হয়েছে। তাই দেশের সম্মান রক্ষার্থে আমি রকেট ছাড়াই চাঁদে যাবার সিদ্ধান্ত নেই।”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, “ এত কষ্ট করে আমি চাঁদে গিয়েছি। পুথিবীর কাছে বাংলাদেশকে গর্বিত করেছি কিন্তু আমার চাঁদে যাবার বিষয়টা ‘কতিপয়’ বাঙ্গালী ভালো ভাবে নেয়নি। এই সত্যি আফসোসের বিষয়। আমি যখন ফাঁসির দড়িতে ঝুলবো তখনই হয়তো জাতি বুঝতে পারবে আমি কতবড় দেশপ্রেমিক।”