কারিগরি শিক্ষা পরিচালকের দুর্নীতি তদন্ত করবে দুদক
ঢাকা জার্নাল: কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মো. বাবর আলির বিরুদ্ধে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারি নিয়োগে অনিয়ম-দুর্নীতির তদন্ত করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সম্প্রতি দুদক তার বিরুদ্ধে দায়ের করা দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত ও অনুসন্ধানের অনুমোদন দিয়েছে।
গত ১১ জুন স্বাক্ষরিত অনুসন্ধান অনুমোদনপত্রে অধিদফতরের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারি নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতিসহ বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থ উপার্জনের অভিযোগ আনা হয়।
কারিগরি শিক্ষা অধিফতরের রাজধানীর আগারগাঁওয়ের স্কিলস ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পে কর্মরত মো. আনোয়ার হোসেন সম্প্রতি দুদকে এ অভিযোগ করেন।
অভিযোগে বলা হয়, অধিদফতরের ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারি নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতিসহ বিভিন্ন প্রকল্পের দায়িত্বে থাকাকালীন ব্যাপক দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থের মাধ্যমে রাজধানীর কল্যাণপুরে বাড়ি ক্রয়, রাজশাহী শহরের বালিয়াপুকুরে জমি ক্রয় ও রাজশাহীর পদ্মা আবাসিক এলাকায় বাড়ি নির্মাণ করেন বাবর আলী।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ২০১২, ২০১৩ ও ২০১৪ সালে তিন দফায় তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারি নিয়োগের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেছেন এ পরিচালক।
অভিযোগ মতে, অধিদফতরের ৪শ’ ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ের স্কিলস ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্বে থাকাকালে মাসিক তিন লাখ টাকা বেতনে সাবেক এক মহাপরিচালক প্রকল্পে নিয়োগ দেন। এ প্রকল্পে গাড়ি ও বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ক্রয়ে দুর্নীতি এবং ঠিকাদার নিয়োগে অর্থ উপার্জন করেন বাবর আলী।
বারর আলীর বিরুদ্ধে নিজের প্রতিষ্ঠানকে টেন্ডারে অংশ নেওয়া ও কার্যাদেশ দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়া দায়িত্বে থাকাকালে প্রভাব খাটিয়ে অনিয়মের মাধ্যমে প্রায় ২৭ জন আত্মীয়-স্বজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
এর আগে, চারদলীয় জোট সরকারের সময়ে তিনি বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল অর্থ-সম্পদের মালিক হয়েছেন বলেও তার বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
ঢাকা জার্নাল, জুন ২৯, ২০১৫