কামারুজ্জামানের মামলার রায় বৃহস্পতিবার
ঢাকা জার্নাল: জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের যুদ্ধাপরাধ মামলার রায় হচ্ছে বৃহস্পতিবার।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসান নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ বুধবার রায়ের এই দিন ঠিক করে দেয়। এর আগে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়েছিল।
এর আগে যুদ্ধাপরাধের তিনটি মামলার রায় দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। এর মধ্যে প্রথম রায়ে জামায়াতের সাবেক রুকন আবুল কালাম আযাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারের ফাঁসির আদেশ আসে।
দ্বিতীয় রায়ে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন এবং তৃতীয় রায়ে দলটির নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।
কামারুজ্জামানের মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সময় প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ বলেন, সাক্ষীদের জবানবন্দি প্রমাণ করেছে যে মোহাম্মদ কামারুজ্জামান মানবতাবিরোধী অপরাধে যুক্ত ছিলেন। আলবদর বাহিনীর নেতা হিসেবে তার নির্দেশে, ভূমিকায় ও সহযোগিতায় শেরপুরে যুদ্ধপারাধ সংগঠিত হয়।
প্রসিকিউটর নুরজাহান বেগম মুক্তা বলেন, কামারুজ্জামানের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় মুক্তিকামী নারীদের ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। তাদের তিনজন ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় শেরপুরের অধ্যক্ষ হান্নানর মুখে চুন কালি মাখিয়ে মাথা মুড়িয়ে নির্যাতন করেছিল আলবদর বাহিনী। তার সঙ্গে যা ঘটেছে, তা মানবতাবিরোধী অপরাধ।
কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে যতো অভিযোগ
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের সাতটি ঘটনায় অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে গত বছরের ৪ জুন কামারুজ্জামানের বিচার শুরু হয়।
প্রসিকিউশনের আনা অভিযোগে বলা হয়েছে, একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় কামারুজ্জামান জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ছাত্রসংঘের ময়মনসিংহ জেলার সভাপতি ছিলেন। ২২ এপ্রিল তিনি জামালপুরের আশেক-মাহমুদ কলেজের ইসলামী ছাত্রসংঘের বাছাই করা নেতাকর্মীদের নিয়ে আলবদর বাহিনী গড়ে তোলেন।
এই বাহিনী বৃহত্তর ময়মনসিংহে (ময়মনসিংহ, জামালপুর, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, শেরপুর ও টাঙ্গাইল) গণহত্যা, হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও দেশত্যাগে বাধ্য করাসহ মানবতাবিরোধী বিভিন্ন অপরাধ ঘটায় বলে অভিযোগ করেছে প্রসিকিউশন।
ঢাকা জার্নাল, মে ০৮, ২০১৩