uncategory

ওসামা বিন লাদেনের মৃত দেহের হদিস মিলেছে !

laden03-300x162ঢাকা জার্নাল: যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী তালিকায় শীর্ষে ছিলেন আল কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা প্রধান ওসামা বিন লাদেন। বহু জল ঘোলা করার পর ২০১১ সালের ২ মে পাকিস্তানের একটি বাড়িতে মার্কিন নেভি সিলের একটি টিম তাকে হত্যা করে। এর পর দেহভস্ম আটলান্টিকে ভাসিয়ে দেয়া হয় বলে দাবি করে যুক্তরাষ্ট্র।

এ নিয়ে তখন থেকেই মৃদু বিতর্ক ছিল। এবার সেই বিতর্কে নতুন জ্বালানি সরবরাহ করলো ফাঁস হয়ে যাওয়া ইমেইল।

ওই ইমেইলে বলা হয়েছে, আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে একটি কম্পাউন্ডে নেভি সিল টিম সিক্সের অভিযানে তাকে হত্যা করা হয় এবং মরদেহ সংরক্ষিত করে যুক্তরাষ্ট্রের ফিরিয়ে আনা হয়।

ইমেইল উদ্ধারের দাবি করেছে আন্তর্জাতিক হ্যাকার গ্রুপ অ্যানোনিমাস। তারা দাবি করেছে, ইমেইলটি Stratfor নামে একটি সংগঠনের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে যারা গোয়েন্দা ও ভূ-রাজনৈতিক বিশ্লেষণ নিয়ে কাজ করে। এই সংগঠনটিকে ‘ছায়া সিআইএ’-ও (Shadow CIA) বলা হয়। টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের অস্টিনভিত্তিক সংগঠন এটি।

গত সপ্তাহে অ্যানোনিমাস দাবি করে, তারা ওই সংগঠনের ২৭ লাখ গোপন যোগাযোগের তথ্য চুরি করেছে। এই তথ্য বহু খুন ও অপরাধ বিষয়ে মারাত্মক ক্লু দিতে পারবে।

২০১১ সালের ২ মে পাকিস্তানে বিন লাদেনকে হত্যা করার পর ইসলামি রীতি অনুযায়ী শেষকৃত্য শেষে USS Carl Vinson জাহাজ থেকে সমুদ্রের পানিতে দেহভস্ম ছড়িয়ে দেয়া হয়।

কিন্তু অ্যানোনিমাসের উদ্ধারকৃত এবং উইকলিকসকে দেয়া কিছু ইমেইলে সংগঠনের গোয়েন্দা ‍বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট ফ্রেড বার্টন বলেছেন, বিন লাদেনের শেষকৃত্যের বিষয়ে হোয়াইট হাউজকে যে তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে তাতে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।

বার্টন বলেন, বিন লাদেনের মৃতদেহটি সিআইএর একটি বিমানে করে ডোভার (দেলাওয়ার) এবং বেথেসডা (মেরিল্যান্ড) আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজির উদ্দেশে যাওয়ার কথা ছিল।

বার্টনের এই তথ্য ষড়যন্ত্র তত্ত্বদাতাদের অনেককেই সমর্থন দিচ্ছে কারণ, বিন লাদেনের মৃত্যুর চার মাস পর ২০১১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজি বন্ধ করে দেয়া হয়।

অপর একটি ইমেইলে বার্টন বলেছেন, যদি দেহভস্ম সমুদ্রে ছড়িয়ে দেয়া হয় তাহলে, ঘটনাটি অনেকটা অ্যাডলফ আইখমানের মতো হয়ে গেল।

উল্লেখ্য, কুখ্যাত হলোকাস্টের অন্যতম সংঘটক অ্যাডলফ আইখমান। ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হলে গেলে তিনি মার্কিন বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। কিন্তু একটি বিশেষ নামের বদৌলতে মার্কিনিদের হাত থেকে ছাড়া পান তিনি।

পরে আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স এইরেসে বসবাস করতে থাকেন। পরে ১৯৬০ সালে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের চরদের হাতে আটক হন তিনি।

তার বিরুদ্ধে মানবতা বিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনা হয়। ১৯৬২ সালে ইসরায়েলি আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন আইখমান।

ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। এরপর মৃতদেহ দাহ করে দেহভস্ম ভূমধ্যসাগরে ছড়িয়ে দেয়া হয়।

ঢাকা জার্নাল, নভেম্বর ২১, ২০১৪।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.