আশুলিয়ায় ককটেল বিস্ফোরণ
ঢাকা জার্নাল: শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চের সমাবেশের আড়াই ঘণ্টা আগে আশুলিয়ায় দুটি স্থানে পাঁচটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার বিকালে যেখানে গণজাগরণ মঞ্চের সমাবেশ হওয়ার কথা সেখান থেকে দেড়-দুই কিলোমিটার দূরে এসব ককটেল ফাটানো হয় বলে আশুলিয়া থানার ওসি শেখ বদরুল আলম জানান।
তিনি বলেন, দুপুর সোয়া ১২টার দিকে আশুলিয়ায় বেরন এলাকার মা ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সামনে দুটি ও গাজীর চর এলাকার তিনটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
বিস্ফোরণের স্থান দুটি গণজাগরণ মঞ্চের সমাবেশস্থল ফ্যান্টাসি কিংডম থেকে দেড়-দুই কিলোমিটার দূরে।
এ সময় গাজীর চর এলাকায় দুজন আহত হন। কারা কী কারণে এ ঘটনা ঘটিয়েছে- তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান ওসি।
তিনি বলেন, আশুলিয়ার বিকেলের সমাবেশের জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছে। সমাবেশস্থল ঘিরে ৫০টি ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসানো হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে বিপুল র্যাব ও পুলিশ।
এদিকে ফ্যান্টাসি কিংডমের সমাবেশস্থল থেকে বেরন ও গাজীর চর এলাকা পর্যন্ত রাস্তার দুপাশের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ।
হাতবোমা ফাটার পর ফ্যান্টাসি কিংডমে যাওয়ার পথে আশুলিয়া চৌরাস্তায় যান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয় পুলিশ। সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়ার পথে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নাসিরুদ্দিন ইউসুফ বাচ্চুর গাড়িও পুলিশের ব্যারিকেডে আটকা পড়ে।
ফ্যান্টাসি কিংডমের সামনে সমাবেশের জন্য মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে বৃহস্পতিবার রাতেই। যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে বিকাল ৩টায় সেখানে সমাবেশের কার্ক্রম শুরুর কথা রয়েছে।
এদিকে চট্রগ্রামের মতো আশুলিয়াতেও জাগরণ মঞ্চের সমাবেশ প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আশুলিয়ার মধ্য গাজীরচটের ইউনিভার্সাল প্রি-ক্যাডেট অ্যান্ড কিন্টারগার্টেন স্কুলে সংবাদ সম্মেলন করে থানা হেফাজতে ইসলামী ও স্থানীয় ওলামা কল্যাণ পরিষদ এই ঘোষণা দেয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হেফজতে ইসলামীর আশুলিয়া থানার আহ্বায়ক কমিটির সচিব মুফতি মনির হোসেন মুন্সী বলেন, যে কোনো মূল্যে গণজাগরণ মঞ্চের উদ্যোক্তাদের তারা প্রতিহত করবেন।
ঢাকা জার্নাল, মার্চ ১৫, ২০১৩