আরো ৫ মামলায় রিমান্ডে আনা হবে মাহমুদুরকে
ঢাকা জার্নাল: স্কাইপি সংলাপ নিয়ে রাষ্ট্রদোহের মামলায়ই এখন মাহমুদুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে৷ কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে ধর্মীয় উসকানি এবং দেশে সংঘাত সৃষ্টির আরো ৫টি মামলা আছে৷
দৈনিক আমার দেশ-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে মোট ৩টি মামলায় ১৩ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে৷ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ডিবি অফিসে৷ এর মধ্যে তথ্য প্রযুক্তি আইনে করা রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাটি করা হয় গত ১৪ই ডিসেম্বর৷
পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু জানান, “ট্রাইব্যুনালের তখনকার বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম এবং প্রবাসী যুদ্ধাপরাধ বিশেষজ্ঞ আহমেদ জিয়াউদ্দিন-এর স্কাইপ সংলাপ আমার দেশ-এ মন্তব্যসহ প্রকাশ করে মাহমুদুর রহমান তথ্য প্রযুক্তি আইনের লঙ্ঘন করেছেন৷”
“তিনি প্রতিবেদনে ট্রাইব্যুনাল ও প্রসিকিউটরদের হেয় করে মন্তব্য ছেপেছেন৷ যার উদ্দেশ্য ছিল ট্রাইব্যুনালকে বাধাগ্রস্ত করে যুদ্ধাপরাধের বিচার বন্ধ করা৷ এটা রাষ্ট্রদোহের অপরাধ৷ এই অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ১ কোটি টাকা জরিমানা৷”
তিনি জানান, তাঁর বিরুদ্ধে আর ২টি মামলা হলো হরতালের সময় গাড়ি ভাঙচুর এবং গাড়িতে আগুন দেয়ার৷ তিনি তেজগাঁ এলাকায় এই অপরাধ করেছেন বলে মামলায় বলা হয়েছে৷
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম জানান, “মাহমুদুর রহমানকে স্কাইপ সংলাপসহ ৩টি মামলায়ই এখন জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে৷”
পুলিশ এখন জানার চেষ্টা করছেন, কেন এবং কী উদ্দেশ্যে তিনি স্কাইপ সংলাপ নিয়ে নিজের মন্তব্য জুড়ে দিয়ে প্রতিবেদন করেছেন৷ আর এই প্রতিবেদন প্রকাশে তাঁর সঙ্গে আর কেউ জড়িত কিনা৷ কেউ তাকে প্ররোচিত করেছে কিনা, তাও জানার চেষ্টা করছেন৷
তিনি আরও জানান, স্কাইপ সংলাপ নিয়ে মামলাটি পুলিশ নয়, ট্রাইব্যুনালেরই একজন প্রসিকিউটর সাইদুর রহমান দায়ের করেছেন৷
মনিরুল ইসলাম বলেন, মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে আরো ৫টি মামলা রয়েছে৷ গত ফেব্রুয়ারি মাসে গণজাগরণ মঞ্চ শুরু হওয়ার পর থেকে তিনি তার পত্রিকায় উদ্দেশ্যমূলকভাবে অনেক প্রতিবেদন ছেপেছেন৷ এর মধ্যে ধর্মীয় উসকানি ছাড়াও দেশে সংঘাত সৃষ্টির উপাদান আছে৷ আর সেই সব রিপোর্টকে আশ্রয় করেই দেশে নানা অশান্তির সৃষ্টি হয়েছে৷
মাহমুদুর রহমানকে পর্যায়ক্রমে এসব অভিযোগের মামলায়ও রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে৷ তিনি বলেন, তার কার্যক্রম দেখে একটি বিষয় স্পষ্ট যে তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে এবং ট্রাইব্যুনালকে বাধাগ্রস্ত করতে তার পত্রিকার মাধ্যমে সুপরিকল্পিতভাবে উসকানি দিয়েছেন এবং ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়িয়েছেন৷
তবে মাহমুদুর রহমানের আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তারুকদার বলেছেন, তাঁকে রাজনৈতিক কারণে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ তাঁর বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ আনা হয়েছে, তার কোনো ভিত্তি নেই৷ তাকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে প্রমাণ হল দেশে গণমাধ্যমের কোন স্বাধীনতা নেই৷ সূত্র: ডয়েচ ভেলে