শীর্ষ সংবাদসব সংবাদ

আরও ১৩ জোড়া ট্রেন চলাচল শুরু

রেলের করোনাকালীন বহরে আরও ১৩ জোড় ট্রেন চালু হয়েছে। রবিবার (১৬ আগস্ট) সকাল থেকে এসব ট্রেন দেশের বিভিন্ন রুটে ছেড়ে গেছে। করোনা পরিস্থিতির সময় স্বল্প পরিসরে চালু হওয়ার পর আজ থেকে ট্রেনগুলো পুরোদমে চলাচল শুরু করেছে। পর্যায়ক্রমে সব রুটের যাত্রীবাহী আন্তঃনগর ট্রেন চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে।

আগে থেকে ১৭ জোড়া ট্রেন চলাচল করছে। আজ যুক্ত হলো আরও ১৩ জোড়া ট্রেন। সব মিলিয়ে এখন চলাচল করা ট্রেনের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩০ জোড়া।

রেলওয়ে জানিয়েছে, করোনা পরিস্থিতির কারণে গত ২৪ মার্চ থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় কিছু মালবাহী ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ছিল। গত ৩১ মে প্রথম দফায় আট জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চালু করা হয়। ৩ জুন দ্বিতীয় দফায় আরও ১১ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন বাড়ানো হয়। তবে কিছুদিন পর যাত্রী সংকটে দুই জোড়া ট্রেন বন্ধ হয়ে যায়।

এরই ধারাবাহিকতায় নতুন করে আজ রবিবার থেকে আরও ১২ জোড়া আন্তঃনগর এবং এক জোড়া কমিউটার ট্রেন নতুন করে চলাচল শুরু হয়েছে।

সাম্প্রতি বাংলাদেশ রেলওয়ের উপপরিচালক (টিটি) খায়রুল কবির স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে আজ (১৬ আগস্ট) হতে ১৩টি ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ার কথা জানানো হয়। সকাল থেকে ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন রুটে এই ১৩ জোড়া যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে সকালে পারাবত, চিত্রা, নীলসাগর ও তিস্তা এক্সপ্রেস ছেড়ে গেছে বলে স্টেশন সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট আগের মতো একসঙ্গে অনলাইনে ও মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে। যাত্রার দিনসহ পাঁচ দিন পূর্বে আন্তঃনগর ট্রেনসমূহের অগ্রিম টিকিট ইস্যু করা যাবে। যাত্রীদের সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কোচের ধারণক্ষমতার শতকরা ৫০ ভাগ টিকিট বিক্রি করা হবে। আন্তঃনগর ট্রেনে সব ধরনের স্ট্যান্ডিং টিকিট দেওয়া বন্ধ থাকবে।

আজ চালু হওয়া ১৩ জোড়া ট্রেনগুলোর মধ্যে রয়েছে—রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী রুটে পদ্মা এক্সপ্রেস, ঢাকা-সিলেট-ঢাকা রুটে পারাবত এক্সপ্রেস, ঢাকা-মোহনগঞ্জ-ঢাকা রুটে হাওড়া এক্সপ্রেস, ঢাকা-তারাকান্দি-ঢাকা রুটে অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস, রাজশাহী-চিলাহাটী-রাজশাহী রুটে তিতুমীর এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে মহানগর এক্সপ্রেস,পঞ্চগড়-ঢাকা-পঞ্চগড় রুটে একতা এক্সপ্রেস, খুলনা-ঢাকা-খুলনা রুটে সুন্দরবন এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম রুটে বিজয় এক্সপ্রেস, ঢাকা-নোয়াখালী-ঢাকা রুটে উপকূল এক্সপ্রেস, খুলনা-চিলাহাটি-খুলনা রুটে সীমান্ত এক্সপ্রেস, গোবরা-রাজশাহী-গোবরা রুটে টঙ্গীপাড়া এক্সপ্রেস এবং ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ বাজার-ঢাকা রুটে জামালপুর কমিউটার ট্রেন।