আমেরিকায় বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত বিজ্ঞানী ড. জাফরুলের সাফল্য
ঢাকা জার্নাল: বাঙালিদের প্রতিভা নিয়ে সন্দেহ করেননি কেউ কখনোই। তবে পরিচর্যার অভাবে বিকশিত হতে দেখা যায় কমই। দেশের বাইরে অনেক বাংলাদেশী প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। এবার আমেরিকা প্রবাসী বাঙালির মেধার আরেকটি স্বীকৃতি এলো। ডাকযোগে কিংবা অন্যভাবে অ্যানথ্র্যাক্স আক্রমণকে (বায়ো-টেরোরিজম) প্রতিহত করার পদ্ধতি আবিষ্কারের জন্য পুরস্কৃত হয়েছেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত মার্কিন বিজ্ঞানী ড. জাফরুল হাসান। আমেরিকারর ‘পরিবেশ সুরক্ষা সংস্থা (ইপিএ)’র পক্ষ থেকে এই অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়েছে।
সম্প্রতি আমেরিকায় বায়ো-টেরোরিজমে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ফেডারেল প্রশাসনের বিভিন্ন উইং নিজ উদ্যোগে এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলা মোকাবিলায় গবেষণা প্রকল্প হাতে নেয়। ইপিএর সর্বোচ্চ জাতীয় এ অ্যাওয়ার্ড গত জুন মাসে ঘোষণা করা হলেও তা আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে গত সপ্তাহে। প্রশাসনের সেরা এবং মেধাবী কর্মকর্তাদের এ স্বীকৃতি দেয়া হয়।
ড. হাসান জানান, ‘আমেরিকা ফেডারেল প্রশাসন (কেন্দ্রীয় সরকার) এর ৫০টি সংস্থার মেধাবী কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে বাছাইকৃত এক বছরের ফেলোশিপ প্রোগ্রামেও আমাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মূলত ভবিষ্যতের প্রশাসনে নেতৃত্ব প্রদানের উপযোগী হিসেবে গড়ে ওঠার প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে এ কর্মসূচিতে। এটি শুরু হবে আসছে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ওয়াশিংটন ডিসি সংলগ্ন ভার্জিনিয়ার উইলিয়ামস বার্গে কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাইক্রোবায়োলজিতে এমএসসি করে ১৯৮৬ সালে রোটারি ক্লাবের স্কলারশিপ নিয়ে ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ক্যারোলিনায় উচ্চতর শিক্ষা নিতে আসেন জাফরুল। ওই প্রতিষ্ঠান থেকে তিনি মাস্টারস অব পাবলিক হেলথ ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৯৪ সালে ইউনিভার্সিটি অব ম্যারিল্যান্ড থেকে মাইক্রোবায়োলজিতে ডক্টরেট করেন। সূত্র: এনা
ঢাকা জার্নাল, নভেম্বর ২৯, ২০১৩।