আবার ক্ষমতায় এলে দেশে কাঁচা রাস্তা থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী
আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় এলে দেশে কোনও কাঁচা রাস্তা থাকবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার কারণে দেশের উন্নয়ন সম্ভব হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) গণভবনে ‘জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস-২০২৩’ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকায় দেশে স্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করায় দেশের উন্নয়নের কাজ করা যাচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক ধারাটা বজায় রাখতে পেরেছি, যার জন্য গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত উন্নয়নটা করতে পেরেছি। আমি জানি, এখনও অনেক গ্রামে কাঁচা রাস্তা আছে। সেগুলো আল্লাহর রহমতে থাকবে না। আবারও যদি জনগণের সেবা করবার সুযোগ পাই, নিশ্চয়ই আমরা সেগুলোও করে দেবো। কারণ, প্রত্যেকটা গ্রাম শহরের মতো করে গড়ে উঠবে।’
আমার গ্রাম, আমার শহর গঠনে সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে রাস্তাঘাট, পুল-ব্রিজ… আজকে যে পদ্মা সেতু নিয়ে আমাদের অভিযোগ দিয়েছিল, চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলাম নিজের অর্থে করবো, সেই চ্যালেঞ্জ মাথায় রেখে নিজেদের অর্থে পদ্মা সেতু করেছি। পদ্মা রেললাইনও করে দিয়েছি। এখন আর যোগাযোগের অসুবিধা নেই।’
জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনারা তৃণমূলের মানুষের ভোটে নির্বাচিত, জনগণের সেবক। জনগণের কল্যাণে কাজ করা—এটা আপনার আমার সবার দায়িত্ব। এ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে মানুষের সেবা করে, মানুষের আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করে, আপনারা এগিয়ে যাবেন। কারণ, একবার যখন মানুষ আপনাদের ভোট দিয়েছে, তারা যেন আবারও ভোট দিতে পারে, সেই আস্থা-বিশ্বাস আপনাদের অর্জন করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আজকের উন্নয়নটা দীর্ঘদিনের কষ্টের ফসল। এটা যেন আর নষ্ট না করতে পারে। কারণ, ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ পর্যন্ত যতটা এগিয়ে ছিলাম, বিএনপি-জামায়াত জোট সেটা পিছিয়ে দিয়েছিল। ২০০৯-২৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের যে অগ্রযাত্রা, এটা যেন অব্যাহত থাকে।’
জনগণের কাছে আমার এটাই আহ্বান থাকবে—জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলা, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলে এসডিজি বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরও উচ্চাসনে নিয়ে গিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবো। লাখো শহীদের রক্তে অর্জিত স্বাধীনতা ব্যর্থ হয়নি, ব্যর্থ হবে না, ব্যর্থ হতে দেবো না।’
মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধিদের দাঁড়াতে বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘কেউ যেন মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ত না হয়, সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দিতে হবে।’ সরকার মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডাসহ সব ধর্মীয় প্রার্থনালয় সংস্কারে অর্থ বরাদ্দ দিচ্ছে বলেও জানান সরকারপ্রধান।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সিটি করপোরেশনের মেয়র, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় সরকারের সব প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।