অভিশপ্ত জীবন তাই লোহার খাঁচায় ঢুকতে হলো, অভিমান ড. ইউনূসের
ঢাকা জার্নাল রিপোর্ট:
নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন,এই প্রথম লোহার খাঁচায় ঢুকতে হলো। এটা জীবনের একটা স্মরণীয় ঘটনা যে,লোহার খাঁচার ভেতরে দাঁড়িয়ে আছি। এটা অভিশপ্ত জীবনের একটা অংশ।
দুদকের করা অর্থ আত্মসাতের মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষে রোববার (২ জুন) দুপুরে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন,‘আমরা নোবেল পুরষ্কারের কথা সবাই জানি। দুটো নোবেল পুরষ্কার দেওয়া হয়েছিল। একটা আমার নামে,আরেকটা গ্রামীণ ব্যাংকের নামে। দুটোরই সমান মর্যাদা। এটা যৌথভাবে দেওয়া হয়েছে তাও না, দুটোই ইনডিপেন্ডেন্ট। পৃথিবীর ইতিহাসে কোনো নজির নেই যে,এক নোবেল বিজয়ীর বিরুদ্ধে আরেক নোবেল বিজয়ী মামলা করেছে, দুদকে হাজির হয়েছে। এটা আমাদের কপালে হয়েছে,এটা অভিশাপের একটা অংশ। এই অভিশাপ আমরা বহন করে যাচ্ছি।’
ড. ইউনূস বলেন,‘এ পর্যন্ত যতো অভিযোগ এসেছে আমার বিরুদ্ধে এবং আমার সহকর্মীদের বিরুদ্ধে,এটা আমার মনে কঠিনভাবে দাগ কেটেছে, কষ্ট লেগেছে;কারণ আমার পরিবারকে আক্রমণ করেছে। কেন আমাদের এ অভিশাপ বহন করতে হচ্ছে,সেটা আমাদের আইনজীবী বলবেন।’
ড. ইউনূস আরও বলেন,‘দেশের নাগরিক হিসেবে বলতে চাই,কেন কারও বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হবে? আমার সহকর্মীরা তাদের জীবন দিয়ে দিয়েছে মানুষের উপকারের জন্য,তাদের কেন হেনস্তা করতে হবে? তাদেরকে লোহার খাঁচায় কেন ঢুকতে হবে?’
আজ শুনানি শেষে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন দুদকের করা অর্থ আত্মসাতের মামলার অভিযোগ গঠনের তারিখ আগামী ১১ জুন নির্ধারণ করেন।
দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন। বিবাদীপক্ষের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও মোহাম্মদ শাহিনুর ইসলাম ড. ইউনূসসহ ১৪ আসামিকে অব্যাহতি দেওয়ার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন।