অক্টোবর থেকে অনলাইনে প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলি
দুর্নীতি ও দীর্ঘদিনের ভোগান্তি দূর করতে আগামী অক্টোবরে অনলাইনে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বদলি শুরু হচ্ছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘অক্টোবর থেকে অনলাইনে শিক্ষক বদলি শুরু করবো। ’
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সাল থেকে অনলাইনে ভর্তির কার্যক্রম শুরু করার জন্য এ বছর ফেব্রুয়ারিতে জরুরি বদলি ছাড়া সহকারী শিক্ষকদের বদলি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়। আর অনলাইনে ভর্তি কার্যক্রমও চালু করা যায়নি। গত মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে হার্ড কপির আবেদনে বদলি কার্যক্রম শুরু করার কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাস প্রকোপের কারণে তাও আটকে যায়।
এই পরিস্থিতিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক বলেছিলেন, ছুটির পর আমরা শিক্ষক বদলি কার্যক্রম (হার্ড কপিতে আবেদনের বিপরীতে) শুরু করবো। আর করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে ছুটি দীর্ঘায়িত না হলে অনলাইনে বদলির ব্যবস্থা চূড়ান্ত হবে শিগগিরিই। বদলির নতুন সফটওয়ারে শিক্ষক ডাটাবেইজ আপডেট করে ফেলবো।
কিন্তু দফায় দফায় ছুটি বাড়তে থাকে। হার্ড কপিতে নেওয়া আবেদনের কিছু বদলি করার কথা থাকলেও তা শুরু করা যায়নি।
শিক্ষা অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বদলি কার্যক্রম জানুয়ারিতে শুরু হয়ে চলে ৩১ মার্চ পর্যন্ত। এ সময় শিক্ষা অধিদফতরের এক শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে যোগসাজশ করে দালালরা শিক্ষকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় লাখ লাখ টাকা। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে অধিদফতরের দু-একজন কর্মকর্তা এবং নিচের স্তরের কর্মচারীদের বিরুদ্ধে।
এই অভিযোগ আমলে নিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আগে থেকেই অনলাইনে শিক্ষক বদলির উদ্যোগ নেয়। দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন ওই সময় জানিয়েছিলেন, ২০২০ সাল থেকে অনলাইনে প্রাথমিক শিক্ষক বদলি কার্যক্রম শুরু করা হবে।
শিক্ষক বদলিতে বিগত সময়ের দুর্নীতির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ্ বলেন, ‘আমি যোগদানের আগে শিক্ষক বদলি নিয়ে অভিযোগের কথা শুনেছি। আমি শিক্ষকদের অনুরোধ করবো, তারা যেনও প্রতারণার শিকার না হন। বদলি কার্যক্রমে দুর্নীতি হবে না।’