জামায়াত-শিবির প্রতিরোধে বুধবার সারাদেশে আলেম সমাবেশ

মার্চ ৫, ২০১৩
জামায়াত-শিবিরের অপতৎপরতা প্রতিরোধে বুধবার সারাদেশে প্রত্যেক উপজেলায় আলেম সমাবেশ করা হবে বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী  অ্যাডভোকেট শাজাহান মিয়া।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ কথা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, “ইসলামের নাম ভাঙ্গিয়ে জামায়াত-শিবির যাতে ইসলাম বিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা করতে না পারে এবং ইসলামকে কলঙ্কিত করতে না পারে, এ জন্য তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে আলেম-ওলামাদের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।”
আলেম-ওলামা, মসজিদের খতিব, ইমাম-মুয়াজ্জিন, ধর্মপ্রাণ জনগণের প্রতি আহবান জানিয়ে ধর্ম প্রতিমন্ত্রীবলেন, “ইসলামে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের স্থান নেই।”
‘নির্বিচারে মানুষ হত্যা ইসলাম সমর্থন করে না’ উল্লেখ করে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, “ইসলামের দৃষ্টিতে এটা জঘন্য অপরাধ।”
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, “ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ধোকা দিয়ে জামায়াত-শিবির দেশব্যাপী সন্ত্রাস, অগ্নি সংযোগসহ নানা ধরণের নাশকতা চালিয়েছে যাচ্ছে। তাই সব ধর্মপ্রাণ সব মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানাচ্ছি।”
সংবাদ সম্মেলনে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশকে একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত ও ইসলামের ভাবমর্যদা বিনষ্টের চেষ্টা করছে। ইতোমধ্যে তারা প্রচুর জাতীয় সম্পদ বিনষ্ট করেছে। তাদের হাতে অনেককেই জীবন দিতে হয়েছে। এদের অনেকেই মুসলিম।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, “তাদের (জামায়াত-শিবির) হাত থেকে দেশের সংখ্যালঘু হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান সম্প্রদায় রক্ষা পায়নি। পরিকল্পিতভাবে সংখ্যালঘুদের বাড়িতে আগুন দিচ্ছে তারা। পবিত্র উপাসনালয়ও ধ্বংস করেছে। আর এগুলো করেছে ইসলামের দোহাই দিয়ে।”
তিনি বলেন, শাহবাগ আন্দোলনের জন্য তরুণ প্রজন্মকে ধন্যবাদ জানিয়ে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, “যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি তারাও এ আন্দোলনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করতে পারবে।”
জামায়াত-শিবির আর বেশি এগুতে পারবে না উল্লেখ করে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, “মানুষ এখন অনেক সচেতন। মানুষ জানে ধর্মের নামে, যারা সংখ্যালঘুদের বাড়ি-ঘর জ্বালায়, মানুষ হত্যা করে তা কোন ধর্মেই নাই।”
সংখ্যালঘুদের বাড়ি ও ক্ষতিগ্রস্থ উপসানালয় নিরাপত্তা ও মেরামতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে সব ধরণের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদেরও ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার।” রামুর ঘটনায় সরকার এর আগে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছিল বলেও উল্লেখ করে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী।”
জামায়াত নেতা দেলওয়ার হোসেন সাঈদীর রায় ও জামায়াত-শিবিরের সহিংসতা প্রসঙ্গে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, “রায় হয়েছে আপিলের সুযোগ রয়েছে। অথচ অপেক্ষা না করেই সহিংসতা চালিয়ে যাচ্ছে জামায়াত-শিবির।”
ঢাকা জার্নাল, মার্চ ৫, ২০১৩

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.