সুব্রত বাইনকে ফেরত দিচ্ছে ভারত!

মার্চ ৪, ২০১৩

imagesঢাকা জার্নাল: মোষ্ট ওয়ান্টেড সুব্রত বাইনকে খুঁজে বের করতে তৎপর কোলকাতা পুলিশ।ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে পুলিশ তাকে খুঁজে বের করতে উদ্যোগ নিয়েছে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত বুধবার সিবিআই মারফত কলকাতা পুলিশকে চিঠি দিয়ে সুব্রত বাইনের খোঁজ জানাতে চায়।

গত ৩ মার্চ রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতর’র বরাত দিয়ে এ খবর প্রাশ করেছে আনন্দ বাজার পত্রিকা।

খবরে বলা হয়, লালবাজারের এক কর্মকর্তা বলেন, “সিবিআই আমাদের জানিয়েছে, ভারতের রাষ্ট্রপতির প্রস্তাবিত বাংলাদেশ সফরের যোগসূত্রে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক সিবিআই-কে সুব্রত বাইনের সাম্প্রতিক খবরাখবর জানাতে অনুরোধ করেছে। সুব্রতর নামে ইন্টারপোলের রেড কর্নার নোটিশ রয়েছে। তাই ভারতে ইন্টারপোলের নোডাল এজেন্সি সিবিআইয়ের মাধ্যমেই ভারতের স্বরাষ্ট্র সন্ত্রণালয় সুব্রতর ব্যাপারে আমাদের কাছে জানতে চেয়েছে। আমরা বিস্তারিত জানিয়ে সিবিআই-কে চিঠি দিয়েছি।”

ভারতের প্রধানমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায় রোববার ঢাকায় পৌঁছেন। নির্ধারিত সফরসূচির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে ব্যেবস্ত সময় পার করছেন তিনি।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে আসার কারণে সুব্রত বাইনকে ফিরিয়ে নেওয়ার প্রসঙ্গ আসতে পারে এমন সম্ভবানা থেকেই ওই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাকে খুঁজে বের করতে তৎপর হয়ে ওঠে।

আনন্দ বাজার পত্রিকা জানায়, সুব্রত’র সঙ্গে নিরাপত্তার কোনও বিষয় যুক্ত থাকতে পারে এবং বাংলাদেশের সরকারের কাছে তাকে তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়াও হয়তো শুরু হতে চলেছে।

গত বছরের ২৭ নভেম্বর কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) গোয়েন্দাদের হাতে সুব্রত ধরা পড়েছে। এর আগে ২০০৮ সালের ১৩ অক্টোবরও দক্ষিণ কলকাতার পাম অ্যাভিনিউ এলাকা থেকে সে এসটিএফের হাতেই ধরা পড়েছিল। কিন্তু পুলিশ সময় মতো চার্জশিট না দিতে পারায় ২০০৯-এর জানুয়ারি মাসে সে জামিনে ছাড়া পায় এবং তার পর পালিয়ে নেপালে চলে যায়। কিছু দিনের মধ্যে সুব্রত সেখানে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। তার পর গত বছর ৮ নভেম্বর নেপালের সুনসারি জেলার ঝুমকা জেলের ভিতর ৭০ ফুট লম্বা সুড়ঙ্গ কেটে সুব্রত বায়েন-সহ ১২ জন বন্দি পালিয়ে যায়। বরিশালে জন্মানো সুব্রত বায়েন ২০০৪ সালের অগস্ট মাসে ঢাকায় আওয়ামি লিগের জনসভায় গ্রেনেড হানার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত। ওই হামলায় ২৪ জন নিহত এবং আহত হন বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও তৎকালীন বিরোধী নেত্রী শেখ হাসিনা-সহ অসংখ্য মানুষ।

এ ছাড়াও বাংলাদেশে অসংখ্য খুন, অপহরণ ও তোলাবাজির ঘটনায় সুব্রত অভিযুক্ত।

সুব্রত’র সর্বশেষ অবস্থান

সুব্রত এখন কলকাতার প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি। তার এই বর্তমান অবস্থান, কী কী ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে এবং কী ভাবে ও কোথা থেকে তাকে এ যাত্রায় গ্রেফতার করা হল, সেই ব্যাপারে বিস্তারিত জানিয়ে শুক্রবারই কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে সিবিআই-কে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

কলকাতা পুলিশের দাবি, নেপালের জেল থেকে পালিয়ে সুব্রত বাইন ভারতে ঢুকে প্রথমে আশ্রয় নেয় বিহারের পূর্ণিয়ায়। সেখানে কিছু দিন কাটিয়ে সে চলে যায় পশ্চিমবঙ্গে। এসটিএফের দাবি, বীরভূমের সিউড়িতে সে বেশ কিছু দিন আত্মগোপন করেছিল সুব্রত। কলকাতায় এসে সে চাঁদনি চক এলাকায় আশ্রয় নেয়। সেখান থেকেই তাকে এ বার গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের দাবি, এ বার সুব্রতর কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় প্রায় ১১ লক্ষ টাকার জাল ভারতীয় নোট। সেই সঙ্গে ভারতের বিদেশি আইনেও মামলা রুজু করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।

ঢাকা জার্নাল, মার্চ, ৩ , ২০১৩

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.