মহাসেনের আঘাত: নিহত ৪

মে ১৬, ২০১৩

130515183417_cyclone_mahasen_976_1_bengaliঢাকা জার্নাল: বরগুনা ও ভোলার উপকূলবর্তী এলাকায় বৃহস্পতিবার ঘূর্ণিঝড় মহাসেনের প্রভাবে চারজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে দুজনের গাছচাপায় মৃত্যু হয়েছে।

বরগুনায় নিহতরা হলেন, বেতাগী উপজেলার রানীপুরের সৈয়দ আলী (৭৫), একই উপজেলার বকুলতলি গ্রামে আবির (৬) ও পালতলি উপজেলার ছোট আম ভোলা গ্রামের চাঁন মিয়া (৭০)।

আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পথে তাদের মৃত্যু হয়। প্রথম জনের মৃত্যু হয় গাছ চাপায়। বাকিরা কীভাবে মারা গেছে জানা যায়নি।

দুপুরে আঘাত হানার সংকেত থাকলেও সকাল ৬টা থেকেই আবহাওয়া ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলায় আঘাতের পর মহাসেন এগিয়ে যাচ্ছে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের দিকে।

ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতির কর্মসূচি উপ-পরিচালক মো. হাফিজুদ্দিন আহমেদ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘূর্ণিঝড়টি ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিমি বেগে কক্সবাজারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

ভোলায় গাছচাপা পড়ে নিহত কাশেমের (৬৫) বাড়ি উপজেলার ধলিগৌর এলাকায়। মহাসেনের প্রভাবে এটিই প্রথম মৃত্যুর খবর।

এদিকে, মহাসেনের প্রভাবে ভোলা সদরসহ আশপাশের বিভিন্ন উপজেলার ওপর দিয়ে ভারি বৃষ্টিসহ ঝড় ও দমকা হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। এ কারণে জেলার তুলাতলী এলাকায় বেশ কিছু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত ও গাছপালা উপড়ে গেছে। এছাড়া চর কুকরি-মুকরি ইউনিয়নে ১০/১২টি কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সালাম হাওলাদার।

নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে তিন/চার ফুট উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। আতঙ্কে সেখানকার মানুষ সাইক্লোন শেল্টার সেন্টারে আশ্রয় নিয়েছেন।

চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুর-ই আলম জানান, এ উপজেলায় বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঝড় বয়ে যায়। এ উপজেলার কুকরি-মুকরি, ঢালচরসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলে শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়। এসময় ঘর ও গাছ চাপায় ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজনকে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া ঝড়ে সকাল ৬টা থেকে ভোলা জেলার বেশিরভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.