চলতি মাসেই বঙ্গবাজারে বহুতল মার্কেটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

এপ্রিল ১৬, ২০২৪

আগুনে পুড়ে যাওয়ার পর বঙ্গবাজারের খালি জায়গায় গড়ে ওঠেছিল কিছু অস্থায়ী অবৈধ দোকান। নতুন করে মার্কেট তৈরির লক্ষ্যে এসব অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করা হচ্ছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল থেকে দ্বিতীয় দিনের মতো অবৈধ দোকান সরিয়ে ফেলার কাজ করছে ডিএসসিসির ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ মাসেই এখানে আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন বহুতল মার্কেটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে বলে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

মঙ্গলবার বিকাল ৩টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়— বঙ্গবাজারের সামনের অংশে গড়ে ওঠা বাঁশের তৈরি দোকানের কাঠামো ভেকু দিয়ে সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। সিটি করপোরেশনের সম্পত্তি বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বঙ্গবাজার দোকান মালিক সমিতির নেতারা উপস্থিত থেকে বিষয়টি দেখভাল করছেন। অনেক দোকানি নিজ নিজ দোকানের মালামাল সরিয়ে নিচ্ছেন।

বঙ্গবাজার দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘এই অস্থায়ী স্থাপনা ভাঙার কথা ঈদের আগে ব্যবসায়ীদের জানানো হয়েছে। এরইমধ্যে অনেক ব্যবসায়ী মালামাল সরিয়ে নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চলতি মাসের যেকোনও দিন বঙ্গবাজারে বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সময় দেওয়ার কথা রয়েছে। সে জন্য কিছু কাজ এগিয়ে রাখতে হচ্ছে।’ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের অনুদানের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের জন্য যে অনুদান রয়েছে, সেই টাকা শিগগিরই ব্যবসায়ীদের মাঝে হস্তান্তর করা হবে।’

সিটি করপোরেশনের নতুন ভবনে যা থাকবে

বঙ্গবাজারে নতুন নামে ১০ তলা ‘বঙ্গবাজার পাইকারি নগর বিপণী বিতান’ ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে ডিএসসিসি। ডিএসসিসির সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে জানা যায়, ১০ তলা আধুনিক এই ভবনে থাকবে বেজমেন্ট ও গ্রাউন্ড ফ্লোর। গ্রাউন্ড ফ্লোরে মোট ৩৮৪টি, প্রথম তলায় ৩৬৬টি, দ্বিতীয় তলায় ৩৯৭টি, তৃতীয় তলায় ৩৮৭টি, চতুর্থ তলায় ৪০৪টি, পঞ্চম তলায় ৩৮৭টি, ষষ্ঠ তলায় ৪০৪টি ও সপ্তম তলায় ৩১৩টি দোকান থাকবে।

এ ছাড়া, অষ্টম তলায় দোকান মালিক সমিতির অফিস, কর্মচারী ও নিরাপত্তাকর্মীদের আবাসনের ব্যবস্থা রাখা হবে। ভবনের পার্কিংয়ে একসঙ্গে প্রায় ১৮৫টি গাড়ি ও ১১০টি মোটরসাইকেল পার্কিং করা যাবে। ভবনটিতে ২২টি খাবারের দোকান রাখা হবে। সেইসঙ্গে নকশায় আরও ৮১টির বেশি দোকান রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতিটি দোকানের আয়তন হবে ৮০-১০০ স্কয়ার ফুট।