পহেলা বৈশাখে আজ থেকেই যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ

এপ্রিল ১৩, ২০২৪

পহেলা বৈশাখের বর্ষবরণের আয়োজনে সুনির্দিষ্ট কোনও হামলার শঙ্কা নেই। তবু অতীতের হামলার ঘটনা মাথায় রেখে নিরাপত্তাব্যবস্থা সাজানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) রমনা বটমূলের নিরাপত্তাব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, পহেলা বৈশাখ বাঙালি জাতিসত্তার অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রকাশ। এ কারণে বারবার এ আয়োজনে বাধা দেওয়া হচ্ছে, জঙ্গি হামলা হয়েছে। তাই অতীতের সবকিছু সামনে রেখেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরাপত্তা পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সারা দেশে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় উদযাপিত হবে নববর্ষ। প্রধান অনুষ্ঠান ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রমনা বটমূল, সংসদ ভবন এলাকা, হাতিরঝিল, রবীন্দ্র সরোবরসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। ডিএমপির পক্ষ থেকে সব অনুষ্ঠান ঘিরেই ব্যাপক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

 

যেসব জায়গায় অনুষ্ঠান হবে, সেখানে সিসিটিভি দ্বারা পুরো এলাকার নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ করা হবে। এ ছাড়া ওয়াচটাওয়ার, ড্রোনের মাধ্যমে আশপাশের এলাকায় নজরদারি করা হবে। পুরো এলাকা এসবির ইক্যুইপমেন্ট ও ডিএমপির ডগ স্কোয়াডের মাধ্যমে সুইপিং করা হবে। ইতোমধ্যো এ কাজ শুরু হয়েছে। বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট স্ট্যান্ডবাই থাকবে, ইতোমধ্যে তারা মহড়া করেছে।

এ অনুষ্ঠান ঘিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রমনা এলাকায় আজ সন্ধ্যা থেকে যান চলাচল কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা হবে। কিছু জায়গায় ডাইভারসন দেওয়া হবে। যারা গাড়ি চালাবেন, তারা যেন পুলিশকে সহায়তা করেন, সে জন্য তাদের প্রতি অনুরোধ করেন তিনি।

তিনি জানান, রমনার প্রবেশমুখে আর্চওয়ে মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে তল্লাশি করা হবে। ভেতরে-বাইরে সাদা পোশাকে ডিবি, এসবি অন্য গোয়েন্দা সংস্থার লোক তৎপর থাকবে। বিকাল ৫টা পর্যন্ত রমনা পার্কে প্রবেশের সুযোগ পাবেন, এরপর কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না। সন্ধ্যার আগে অনুষ্ঠান শেষ করতে হবে, জানিয়ে দেন ডিএমপি কমিশনার।

পর্যটকদের সহায়তার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশের টিম থাকবে, লেকে নৌ পুলিশের টিম, মেডিক্যাল টিম, লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড সেন্টার, রক্তদানের বুথ থাকবে। এ ছাড়া ডিএমপির পক্ষ থেকে বিনামূল্যে সুপেয় পানির ব্যবস্থা থাকবে।

হাবিবুর রহমান বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সব অনুষ্ঠানের একটি সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। আশা করি নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে সবাই বিষয়টি মেনে চলবেন।