চিকিৎসকরা ‘প্রাইভেট প্র্যাকটিস’ কমিয়ে গবেষণায় নজর দিন: প্রধানমন্ত্রী

মার্চ ১১, ২০২৪

চিকিৎসকদের ‘প্রাইভেট প্র্যাকটিস’ কমিয়ে গবেষণার প্রতি বেশি মনোযোগী হওয়া পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (১১ মার্চ) বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ, এন এস টি ফেলসি এবং বিশেষ গবেষণা অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ পরামর্শ দেন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সরকারের মূল লক্ষ্য হচ্ছে মানবসম্পদ উন্নয়নের মাধ্যমে মানুষের কল্যাণ সাধন ও টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন অর্জন। আমাদের বিজ্ঞানী ও গবেষকদের এ ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে হবে। আমরা একটা জায়গায় একটু পিছিয়ে আছি, সেটা হচ্ছে স্বাস্থ্যবিষয়ক গবেষণায়। ডাক্তার সাহেবরা শুধু প্র্যাকটিস করে আর টাকা কামাই করেন, গবেষণার দিকে বেশি যান না। কি ঠিক? এখানে ডাক্তার আছেন তাই সামনে সামনে জিজ্ঞেস করছি। কিন্তু এখন গবেষণায় গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ দেশের মানুষ যত সুস্থ হবে সবল হবে তারা মেধা বিকাশের সুযোগ পাবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এরপর থেকে যারা স্বাস্থ্য বিষয়ে গবেষণা করবে তাদের আরও বিশেষ করে গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ কৃষিতে গবেষণা করে আজকে আমরা শুধু খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ না, বাংলাদেশে এখন ফলমূল, এমনকি যে টিউলিপ ফুল শীতের দেশ ছাড়া হয় না সেই টিউলিপও বাংলাদেশের হচ্ছে। স্ট্রবেরি ও বাংলাদেশে হচ্ছে। এসবই গবেষণার ফসল।

তিনি বলেন, গবেষণা তো আমাদের জন্য নতুন ভাগ্য খুলে দেয়। এজন্য আবারও চিকিৎসকদের কাছে আমি অনুরোধ করব, যারা সরকারি চাকরি করছেন তারা প্রাইভেট প্র্যাকটিস একটু কমিয়ে দিয়ে গবেষণার দিকে নজর দিন। আর এরপরে যারা গবেষণা করবেন, আমি তো বললাম তাদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য আমরা যা করার করব। কিন্তু গবেষণাটা আমাদের খুব দরকার। বিজ্ঞান এবং স্বাস্থ্য বিজ্ঞান, এই দুটোর গবেষণার ওপর আমাদের সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। সেজন্য আমি অনুরোধ করব যে এবার আমাদের গুরুত্ব হবে বিজ্ঞান আর স্বাস্থ্যবিজ্ঞানে। আমরা চাই আমাদের গবেষণায় আরও বেশি সবাই মনোযোগী হবে,

সরকারপ্রধান বলেন, আমি জানি গবেষকদের কোনো অসুবিধা থাকলে সেটা কীভাবে দূর করা যায় সেই ব্যাপারে আমাদের সরকার সব সময় অত্যন্ত আন্তরিক, আমরা সেটা করব।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি জাহিদ মালেক প্রমুখ।