বেইলি রোডে আগুন: উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করলেন হাইকোর্ট

মার্চ ৪, ২০২৪

রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ ভবনের আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় স্বরাষ্ট্র সচিবের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), ফায়ার সার্ভিস, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।

একইসঙ্গে ঢাকার রেস্টুরেন্টগুলোর অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি রুফটপ রেস্টুরেন্টগুলো পরিচালনা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন আদালত। হাইকোর্ট বলেছেন, যেভাবে একের পর এক রুফটপ রেস্টুরেন্ট হচ্ছে তাতে আমরা অবাক হচ্ছি। এসব রেস্টুরেন্ট একটা ফ্যান লাগিয়ে চালু করে দিচ্ছে। কি একটা অবস্থা চলছে।

এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি নিয়ে সোমবার (৪ মার্চ) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

গ্রিন কোজি কটেজ ভবনের আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যুর ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে রবিবার (৩ মার্চ) জনস্বার্থে রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইসরাত জাহান শান্তনা। রিটে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করার নির্দেশনা চান এই আইনজীবী। একইসঙ্গে রিটে সরকারের গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট আদালতে দাখিলের নির্দেশনা চাওয়া হয়।

একইদিনে বেইলি রোডসহ সব আবাসিক স্থাপনায় রেস্টুরেন্ট বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট দায়ের করেন অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ। রিটে বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে প্রকৃত দায়ীদের গ্রেফতার এবং আহত ও নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়। এছাড়া বেইলি রোডে আগুনের ঘটনা তদন্তের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজি, রাজউকের চেয়ারম্যান, ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টা ৫০ মিনিটে গ্রিন কোজি কটেজ ভবনের ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্টুরেন্টে আগুন লাগার সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছেন। মৃতদের মধ্যে ২০ জন পুরুষ, ১৮ জন নারী এবং আট জন শিশু‌।