নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে সমালোচনা হলেও এর বিকল্প নেই: শিক্ষামন্ত্রী

জানুয়ারি ১৯, ২০২৪

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, ‘নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে সমালোচনা হলেও এর কোনও বিকল্প নেই। কিছু সমালোচনা হবে। আমাদের যে সিদ্ধান্তগুলো শিক্ষাবিদ, বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বসে নেওয়া হয়েছে সেসবের সমালোচনা নেওয়ার সক্ষমতা রাজনীতিকদের থাকতে হবে। সক্ষমতা আশা করি আমাদের আছে।’

শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমি রাজনৈতিক নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আছি। আমাদের বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিরা তাদের জায়গা থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে শিক্ষা পরিবারকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’

মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ‘বৃহত্তর চট্টগ্রামের মানুষের প্রতি আমাদের কমিটমেন্ট আছে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামকে ঘিরে অনেক উন্নত আন্তর্জাতিকমানের অবকাঠামো করে দিয়েছেন। সুদূর টেকনাফ থেকে ফেনী পর্যন্ত এখানে নানা ধরনের অবকাঠামো হয়েছে। চট্টগ্রামে অনেক অবকাঠামো হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘কীভাবে আমাদের তরুণ প্রজন্মের কর্মসংস্থান হবে সেটি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী আমাদের ভাবতে বলেছেন। নারী-পুরুষ, শ্রেণি-পেশা, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে কীভাবে এ অঞ্চলকে ঘিরে তরুণরা বাণিজ্য ও অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে, এ বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী আমাদের বিশেষভাবে কাজ করতে বলেছেন।’

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের যারা জনপ্রতিনিধি হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন এবং আওয়ামী লীগ ও প্রগতিশীল অন্যান্য রাজনৈতিক দলে যারা আছেন, তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে আমরা ইকনোমিক ইকোসিস্টেম তৈরি করতে পারি। অর্থনীতির সঙ্গে শিক্ষার সম্পর্ক সৃষ্টি করতে পারি। এর মাধ্যমে আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে চাই।

‘ভবিষ্যতের আশায় আমাদের সন্তানদের বিদেশে যাওয়া ছাড়া যদি কোনও গতি না থাকে, তাহলে বুঝতে হবে আমরা যারা চট্টগ্রামে আছি, এটি আমাদের ব্যর্থতা। এই বিষয়গুলো নিয়ে আমরা কাজ করবো।’

মন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের যেসব কাজ চলমান আছে, সেগুলো যথাসময়ে শেষ করা আমাদের লক্ষ্য। জলাবদ্ধতা প্রকল্প বার বার আলোচনায় আসে। আমরা চট্টগ্রামের মেয়র এবং চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে যারা আছেন তাদের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে করলে দ্রুত কাজগুলো করতে পারবো। এ বিষয়গুলো আমি আমার পক্ষ থেকে দেখবো।’

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি এখানে কোনও রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা, ক্ষমতার দম্ভ, অহঙ্কারে বিশ্বাস করি না। আমার বাবা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী তিনি সাড়ে ১৬ বছর চট্টগ্রামের মেয়র ছিলেন। আমি দেখেছি, কীভাবে তিনি জনসেবা দিয়েছেন। আমি রাজনৈতিক ক্ষমতা শৈশব থেকে দেখে এসেছি। তাই এর প্রতি আমার কোনও লোভ-লালসা নেই। জনসেবায় কীভাবে বেশি করে কাজ করতে পারি, বিশেষ করে তরুণ সমাজকে কীভাবে কর্মসংস্থান-কর্মমুখী করতে পারি, শিক্ষাপদ্ধতি-শিক্ষাকার্যক্রমকে কীভাবে ইন্ডাস্ট্রি-অর্থনীতির সঙ্গে সংযুক্ত করতে পারি– সেই লক্ষ্যে আমি কাজ করে যাবো।’