বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া

নভেম্বর ১৯, ২০২৩

সংক্ষিপ্ত স্কোর: অস্ট্রেলিয়া ৪৩ ওভারে ২৪১/৪ (লাবুশেন ৫৮*, ম্যাক্সওয়েল ২*, হেড ১৩৭, স্মিথ ৪, মার্শ ১৫, ওয়ার্নার ৭)

ভারত ৫০ ওভারে ২৪০/১০ (সিরাজ ৯*, কুলদীপ ১০, বুমরা ১, সূর্যকুমার ১৮, শামি ৬, রাহুল ৬৬, জাদেজা ৯, গিল ৪; রোহিত ৪৭, আইয়ার ৪, কোহলি ৫৪)

ফল: অস্ট্রেলিয়া ৬ উইকেটে জয়ী।

প্রতিপক্ষ শুধু ভারতের ১১ ক্রিকেটারই নয়, ছিল স্টেডিয়ামে আগত ১ লাখ দর্শক। ম্যাচের আগের সংবাদ সম্মেলনে তাদের চুপ করিয়ে দেওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স, ‘এখানে যে একপেশে দর্শক উপস্থিত থাকবে তাতে সন্দেহ নেই। তবে বিশাল সংখ্যক এই দর্শকদের চুপ করে দিতে পারার চেয়ে তৃপ্তিময় আর কিছু নেই। কালকে আমাদের সেই লক্ষ্যই থাকবে।’ তিনি পেরেছেন। এবারের বিশ্বকাপে অপ্রতিরোধ্য ভারতকে হারিয়ে ষষ্ঠবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অজিরা। তাতে টানা ১০ ম্যাচ জেতার পর স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় ভাসলো রোহিত শর্মারা।

টসে হেরেও ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ শুরু করছিল ভারত। রোহিত শর্মার ছোট ঝড়ে প্রথম ১০ ওভার ছিল তাদের দাপট। তারপর বিরাট কোহলিকে ফিরিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় অস্ট্রেলিয়া। ভারতের হয়ে এই বিশ্বকাপে উজ্জ্বল নক্ষত্রে রূপ নেওয়া ডানহাতি ব্যাটার হাফ সেঞ্চুরিও করেন। তার বিদায়ের পর থেকে আর উঠে দাঁড়াতে পারেনি স্বাগতিকরা। থামতে হয়েছে ২৪০ রানে।

জবাব দিতে নেমে খুব একটা স্বস্তির শুরু হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। যশপ্রীত বুমরার জোড়া আঘাতে ৪৭ রানে ৩ উইকেট হারায় তারা। তারপর ট্র্যাভিস হেড ও মার্নাস লাবুশেন নিষ্ক্রিয় করে দেন ভারতের পেস আক্রমণ। মোহাম্মদ শামি, বুমরা ও মোহাম্মদ সিরাজদের ওপর চড়াও হন তারা। কুলদীপ যাদবও ঘূর্ণিতে জাদু দেখাতে পারেননি। হেড ও লাবুশেন দেড়শ ছাড়ানো জুটিতে জয়ের পথ তৈরি করে দেন। তারা দুজনেই দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়ার পথে ছিলেন। কিন্তু লক্ষ্য থেকে দুই রান দূরে থাকতে আউট হন হেড, ১২০ বলে ১৩৯ রান করেন তিনি। ১৯২ রানের জুটি গড়েন দুজন। লাবুশেন ১১০ বল খেলে ৫৮ রানে অপরাজিত ছিলেন। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল দুই রান নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে নেন।

চলতি বিশ্বকাপে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করে ফেললেন ট্র্যাভিস হেড। ৩৪তম ওভারে ৯৫ বলে ১৪ চার ও ১ ছয়ে তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছান তিনি। ধর্মশালায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১০৯ রান করেন তিনি।

সেঞ্চুরি করে লিজেন্ডারি ক্লাবে নাম লিখলেন হেড। ক্লাইভ লয়েড, ভিভ রিচার্ডস, অরবিন্দ ডি সিলভা, রিকি পন্টিং, অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, মাহেলা জয়াবর্ধনের পর ফাইনালে সেঞ্চুরি করা সপ্তম ব্যাটার তিনি। রান তাড়া করতে নেমে ডি সিলভার পর দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে তিন অঙ্কের ঘরে হেড।

৪৭ রানে তিন উইকেট পড়ার পর থেকে মার্নাস লাবুশেনে তাকে উপযুক্ত সঙ্গ দিয়ে গেছেন। তিনিও করেছেন হাফ সেঞ্চুরি। ৪০তম ওভারের শেষ বলে চার মেরে ফিফটি ছোঁন লাবুশেন।

২২তম ওভারে কুলদীপ যাদবের বলে সিঙ্গেল নিয়ে হাফ সেঞ্চুরি করলেন ট্র্যাভিস হেড। ৫৮ বল খেলে ৬ চার ও ১ ছয়ে চলতি বিশ্বকাপে তৃতীয়বার পঞ্চাশ ছুঁলেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার। তার ব্যাটে ভর করে ভারতকে চাপে রেখেছে অস্ট্রেলিয়া। সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিনি খেলেন ৬২ রানের ইনিংস। তার সঙ্গে মার্নাস লাবুশেনের জুটি একশ ছাড়িয়ে গেছে। ১৮ ওভারে ৬৯ রান দরকার অজিদের।

৪৭ রানে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল অস্ট্রেলিয়া। দায়িত্বশালী ব্যাটিংয়ে ওই ধাক্কা সামলে উঠেছেন মার্নাস লাবুশেন ও ট্র্যাভিস হেড। তাদের জুটি ৫০ ছাড়িয়ে গেছে।

যশপ্রীত বুমরা পরপর দুই ওভারে দুটি উইকেট তুলে নিলেন। পঞ্চম ওভারে মিচেল মার্শকে, সপ্তম ওভারে স্টিভ স্মিথকে প্যাভিলিয়নে পাঠান তিনি। ৪ রান করে স্মিথ এলবিডব্লিউ হন। ভারতীয় পেসারের তোপে পড়ে ১ উইকেটে ৪১ রান করা অস্ট্রেলিয়ার ৪৭ রানে নেই ৩ উইকেট। পাওয়ার প্লে শেষে আর কোনও উইকেট না হারিয়ে ৬০ রান তাদের।

ডেভিড ওয়ার্নারকে হারানোর দুঃখ ভুলিয়ে দিয়েছিলেন মিচেল মার্শ। একটি করে চার ও ছয় মেরে ভারতকে অস্বস্তিতে রাখেন তিনি। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি। পঞ্চম ওভারে যশপ্রীত বুমরার বলে পেছনে লোকেশ রাহুলকে ক্যাচ দেন। ১৫ বলে ১৫ রান করেন তিনি। ৪১ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারালো অস্ট্রেলিয়া।

যশপ্রীত বুমরার প্রথম ওভার থেকে ১৫ রান তুলে নিয়েছে ট্র্যাভিস হেড ও ডেভিড ওয়ার্নার। অস্ট্রেলিয়া ২৪১ রানের লক্ষ্যে নেমে আগ্রাসী শুরু করেছিল। তবে বল হাতে নিয়ে মোহাম্মদ শামি ওয়ার্নারকে ফেরান। ভারতীয় পেসার বোলিংয়ে এসে ওয়াইড দেন। পরের ডেলিভারিতে স্লিপে বিরাট কোহলির ক্যাচ হন অজি ওপেনার। ১৬ রানে প্রথম উইকেট হারালো অস্ট্রেলিয়া।

বিশ্বকাপে ভারতের ব্যাটারদের দাপট দেখা গেছে পুরোটা সময়। একই আধিপত্য দেখানোর লক্ষ্য নিয়ে ফাইনালে আগে ব্যাটিংয়ে নামে তারা। কিন্তু অচেনা এক ভারতকে দেখা গেছে। বিরাট কোহলি ও লোকেশ রাহুল ছাড়া আর কেউ উল্লেখযোগ্য ইনিংস খেলতে পারেননি। তাতে দলীয় সংগ্রহ আড়াইশও হয়নি। শেষ বলে ২৪০ রানে তাদের অলআউট করেছে অস্ট্রেলিয়া। টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়ে ভুল করেনি তারা।

ভারত পাওয়ার প্লেতে ১০ ওভারে ২ উইকেটে ৮০ রান করে। রোহিত শর্মা ৩১ বলে চারটি চার ও তিন ছয়ে ৪৭ রানে আউট হন দশম ওভারে। তারপর শুরু হয় অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের দাপট। বল হাতে ও ফিল্ডিংয়ে চমৎকারিত্ব দেখিয়ে স্বাগতিকদের খোলসে বন্দি করে রাখে অজিরা।

৮১ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর বিরাট কোহলি ও লোকেশ রাহুল হাল ধরেছিলেন। কোহলিকে ৫৪ রানে বোল্ড করে লাখো দর্শককে নিস্তব্ধ করে দেন প্যাট কামিন্স। ৬৭ রানের জুটি ভাঙার পর আর ছন্দ ফেরাতে পারেনি ভারত।

লোকেশ রাহুল যা একটু চেষ্টা করে গেছেন। ডেথ ওভারে তাকে ইনিংস সেরা ৬৬ রানে থামান মিচেল স্টার্ক। এই বাঁহাতি পেসার তার পরের ওভারে মোহাম্মদ শামিকেও ফেরান।

ডেথ ওভারে দুর্দান্ত বোলিং করে অস্ট্রেলিয়া। শেষ ১০ ওভারে ৪৩ রানের বিনিময়ে শেষ পাঁচ উইকেট হারায় ভারত।

স্টার্ক ১০ ওভারে ৫৫ রান দিয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন। দুটি করে পান জশ হ্যাজেলউড ও কামিন্স।

সূর্যকুমারও হতাশ করলেন

আহমেদাবাদে ভারতের ব্যাটিং ব্যর্থতায় হাল ধরতে পারেননি সূর্যকুমার যাদবও। ১৮ রান করে জশ হ্যাজেলউডের ক্যাচ হন তিনি। বল তার গ্লাভস ছুঁয়ে জশ ইংলিসের গ্লাভসে ধরা পড়ে। ২২৬ রানে নবম উইকেট পড়লো ভারতের।

স্টার্কের পর অ্যাডাম জাম্পা আঘাত করলেন। মাত্র ১ রান করে এলবিডব্লিউ হলেন যশপ্রীত বুমরা। ২১৪ রানে ৮ উইকেট হারায় ভারত।

মিচেল স্টার্ক টানা দুই ওভারে দুটি উইকেট তুলে নিলেন। ৪৪তম ওভারে মোহাম্মদ শামিকে ৬ রানে জশ ইংলিসের ক্যাচ বানান অস্ট্রেলিয়ান পেসার। ২১১ রানে ৭ উইকেট নেই ভারতের।

৪১তম ওভারে অ্যাডাম জাম্পার বলে ড্রাইভ করে সিঙ্গেল নেন লোকেশ লাহুল। তাতে ভারতের স্কোর দুইশতে পৌঁছায়। পরের ওভারে ফিরে যান তিনি। মিচেল স্টার্কের বলে আউটসাইড এজ হয়ে জশ ইংলিসের ক্যাচ হন তিনি। ১০৭ বলে ১ চারে ৬৬ রান করেন তিনি। ২০৩ রানে ৬ উইকেট হারালো ভারত।

রবীন্দ্র জাদেজা ব্যাট হাতে ব্যর্থ। মারকুটে এই ব্যাটারকে খোলসবন্দি করে রাখে অস্ট্রেলিয়ান বোলাররা। ইনিংসও দুই অঙ্কের ঘরে নিতে পারেননি। ২২ বলে ৯ রান করে জশ হ্যাজেলউডের বলে জস ইংলিসের গ্লাভসবন্দি হন। ১৭৮ রানে ৫ উইকেট হারালো ভারত।
ফিফটিতে ইনিংস সামাল দিচ্ছেন রাহুল

কোহলি যতক্ষণ ছিলেন শুধু প্রান্ত আগলে খেলছিলেন লোকেশ রাহুল। কোহলির আউটের পর ভূমিকা বদলেছে। দায়িত্ব নিয়ে খেলছেন তিনি। তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের ১৭তম ফিফটি। রাহুল পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন ৮৬ বলে। ধীরে সুস্থে খেলে তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন রবীন্দ্র জাদেজা।

ওপেনার রোহিত যতক্ষণ ছিলেন সচল ছিল ভারতের রানের চাকা। কিন্তু রোহিতের আউটের পর দ্রুত আইয়ারও আউট হলে ছন্দ পতন হয় ইনিংসে। তার পর অবশ্য দারুণ জুটিতে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টায় ছিলেন কোহলি-রাহুল। রাহুল ধীরে সুস্থে খেলতে থাকলেও মূল দায়িত্বটা কাঁধে নিয়েছিলেন কোহলি। ফিফটিও তুলে নিয়েছিলেন। কিন্তু কোহলিকে বোল্ড করে কথামতো স্বাগতিক দর্শকদের স্তব্ধ করে দেন প্যাট কামিন্স। তাতে ভাঙে ৬৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি।

কামিন্সের শর্ট বল ঠিকমতো খেলতে পারেননি কোহলি। এমনভাবে খেলেছেন যে নিজের স্টাম্পে বল আঘাত করে। তাতে ৬৩ বলে ৫৪ রানে ফিরেছেন কোহলি। তার ইনিংসে ছিল ৪টি চার।

দ্রুত দুই উইকেট পড়ে যাওয়ায় শুরুতে রানের যে গতি ছিল সেটা কমে আসে ভারতের। তার পরেও জুটি গড়ে দলকে ভালো জায়গায় নেওয়ার চেষ্টা করছেন কোহলি-রাহুল জুটি। কোহলি তো ৭২তম ফিফটিও তুলে নিয়েছেন ৫৬ বলে। সঙ্গী রাহুল অবশ্য ঢিমে তালে খেলছেন।

গিলের উইকেট পড়লেও রোহিতের আগ্রাসী ব্যাটিং মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার। সঙ্গে যোগ হন বিরাট কোহলি। তিনিও অজি বোলারদের ওপর চড়াও হতে থাকনে। তাতে ৯ ওভারেই ভারতের স্কোর হয়ে যায় এক উইকেটে ৬৬। তখন উইকেট নেওয়ার জন্য পাওয়ার প্লের মাঝে ম্যাক্সওয়েলকে আনেন কামিন্স। তার দ্বিতীয় ওভারে রোহিত চড়াও হয়েছিলেন। দশম ওভারটিতে এক ছক্কা ও এক চারে দ্রুততম হাফসেঞ্চুরির কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন ভারতের অধিনায়ক। ওই ওভারেই ম্যাক্সওয়েলের শিকার হন তিনি। ৩১ বলে ৪৭ রান করা রোহিতকে দারুণ এক ক্যাচে তালুবন্দি করেছেন ট্রাভিস হেড। রোহিতের ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও ৩টি ছয়।

রোহিতকে ফেরানোর পরের ওভারে তাদের আরও চাপে ফেলে দেন অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। নতুন নামা শ্রেয়াস আইয়ারকে (৪) ব্যাক অব লেংথের ডেলিভারিতে গ্লাভসবন্দি করিয়েছেন। তাতে ৭৬ রানে দুই উইকেট থেকে ভারতের স্কোর দাঁড়ায় ৮১ রানে ৩ উইকেট! তার পর কমে আসে রানের গতি।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা সতর্ক ছিল ভারতের দুই ওপেনারের। কিন্তু দ্বিতীয় ওভারে হ্যাজলউড আসতেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে নিজের স্বভাবসুলভ ব্যাটিং শুরু করেন ওপেনার রোহিত শর্মা। স্টার্কের বেলায় শুরুতে যতটা রক্ষণাত্মক খেলেছেন, ততটাই আক্রমণাত্মক ছিলেন হ্যাজলউডের বেলায়। তাতে ৪ ওভারেই স্কোরবোর্ডের জমা হয় ৩০ রান। তবে সঙ্গী শুবমান গিল ছিলেন পুরোপুরি খোলসবন্দি। এ সময় স্টার্কের বলে গিলের ব্যাটের কানায় লেগে স্লিপে ক্যাচের সুযোগও তৈরি হয়েছে। সেটা কঠিন ছিল যদিও। তবে পঞ্চম ওভারে স্টার্কের বলে চড়াও হতে গেলে শেষ রক্ষা হয়নি তার। শর্ট লেংথের ডেলিভারিতে পুল করতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনেন তিনি। ৪ রানে মিড অনে জাম্পার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন গিল।

গত বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল রোহিত শর্মাদের। এবার ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ। ফাইনালে উঠে স্বাগতিকরা কোনওভাবেই চাইবে না তৃতীয় বিশ্বকাপ জেতার সুযোগ হাতছাড়া করতে। তাহলে প্রথম দল হিসেবে ঘরের মাটিতে দুটি ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ের ইতিহাস গড়বে তারা। যদিও শুরুতে টস ভাগ্য তাদের পক্ষে আসেনি। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে শুরুতে টস জিতে তাদের ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।

৪৭তম ম্যাচটি দিয়েই আজ পর্দা নামছে বিশ্বকাপের। টানা দশ ম্যাচ জিতে শিরোপা মঞ্চে আসা ভারত অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে মাঠে নেমেছে। টানা ৮ ম্যাচ জেতা অজিদের একাদশও অপরিবর্তিত। অধিনায়ক প্যাট কামিন্স শুরুতে বল করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য শিশিরকে ফ্যাক্টর হিসেবে দেখছেন। এখানে আরেকটি বিষয়ও উল্লেখযোগ্য। সর্বশেষ তিনটি বিশ্বকাপে বিজয়ী হয়েছে রান তাড়া করা দল।

ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা অবশ্য জানিয়েছেন, টস জিতলে শুরুতে ব্যাটিংই করতেন তিনি। যেহেতু বড় ম্যাচ প্রচুর রান প্রয়োজন স্কোরবোর্ডে।

ভারতের একাদশ: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শুবমান গিল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ার, লোকেশ রাহুল (উইকেটকিপার), সূর্যকুমার যাদব, রবীন্দ্র জাদেজা, জসপ্রীত বুমরা, মোহাম্মদ শামি, কুলদীপ যাদব, মোহাম্মদ সিরাজ।

অস্ট্রেলিয়া একাদশ: ট্রাভিস হেড, ডেভিড ওয়ার্নার, মিচেল মার্শ, স্টিভেন স্মিথ, মার্নাস লাবুশেন, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, জস ইংলিস (উইকেটকিপার), মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স (অধিনায়ক), অ্যাডাম জাম্পা, জশ হ্যাজেলউড।