ফিলিস্তিনিরা ‘গণহত্যার’ শিকার উল্লেখ করে জাতিসংঘ কর্মকর্তার পদত্যাগ

নভেম্বর ১, ২০২৩

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের নিউ ইয়র্ক কার্যালয়ের পরিচালক ক্রেগ মখিবার পদত্যাগ করেছেন। গাজায় ইসারয়েলি বোমা বর্ষণে ফিলিস্তিনিদের ‘গণহত্যা’ ঠেকাতে জাতিসংঘের ‘ব্যর্থতার’ প্রতিবাদে তিনি দায়িত্ব ছেড়েছেন। একই সঙ্গে তিনি অভিযোগ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অধিকাংশ ইউরোপ এই নৃশংস হামলায় পুরোপুরি জড়িত। মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এ খবর জানিয়েছে।

২৮ অক্টোবর জাতিসংঘের হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক বরাবর একটি চিঠি লিখে পদত্যাগ করেন ক্রেগ মখিবার। চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘এটি আমার শেষ যোগাযোগ।’

চিঠিতে মখিবার বলেছেন, ‘আমরা আরও একবার গণহত্যা সংঘটিত হতে দেখছি। কিন্তু এটি বন্ধ করতে জাতিসংঘ ব্যর্থ হয়েছে।’

তিনি লিখেছেন, ‘অতীতে রুয়ান্ডায় তুতসিসদের, বসনিয়ায় মুসলিমদের, ইরাকি কুর্দিস্তানে ইয়াজিদিদের এবং মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের গণহত্যা ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে জাতিসংঘ। হাইকমিশনার আমরা আবারও ব্যর্থ হচ্ছি।’

মখিবার বলেছেন, ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে চলমান হত্যাযজ্ঞের শেকড় জাতিগত-জাতীয়তাবাদী ঔপবিনেশিক বসতি স্থাপনের আদর্শে নিহিত। কোনও সন্দেহ নেই, এই হত্যাযজ্ঞ কয়েক দশকের পরিকল্পিত নিপীড়ন ও শুদ্ধিকরণের ধারাবাহিকতা।

তিনি বলেছেন, এটি গণহত্যার পরিকল্পিত উদাহরণ। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অধিকাংশ ইউরোপ জেনেভা কনভেনশনের বাধ্যবাধকতা পূরণে শুধু অস্বীকৃতি জানাচ্ছে তা নয়, তারা ইসরায়েলকে আক্রমণের জন্য অস্ত্র এবং তা আড়াল করতে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সহযোগিতা দিচ্ছে।

তিনি আরও বলেছেন, আমাদেরকে অবশ্যই একক, গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ ঐতিহাসিক ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাকে সমর্থন করতে হবে। যেখানে খ্রিস্টান, মুসলিম ও ইহুদিদের সমান অধিকার থাকবে।

১৯৯২ সাল থেকে জাতিসংঘে কাজ করছেন মখিবার। বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। ফিলিস্তিন, আফগানিস্তান ও সুদানে সিনিয়র মানবাধিকার উপদেষ্টা হিসেবে ভূমিকা পালন করেছেন। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের বিশেষজ্ঞ এই আইনজীবী ১৯৯০ দশকে গাজায় বসবাস করেছেন।