বিএনপির আমলে মোবাইলে কল ধরলেও ১০ টাকা দিতে হতো: প্রধানমন্ত্রী

অক্টোবর ১০, ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপির আমলে একটা মোবাইল ফোনের দাম ছিল এক লাখ ৩০ হাজার টাকা। আর ফোন করলে প্রতি মিনিট ১০ টাকা, ধরলেও (রিসিভ করা) ১০ টাকা। তাও মাত্র একটা কোম্পানি—ঢাকা আর চট্টগ্রামে। বিএনপির এক মন্ত্রীর ব্যবসা। আওয়ামী লীগ আসার পর এটা সর্বজনীন করে গ্রাম পর্যায়ে পৌঁছে দিয়েছি।

মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা রেল যোগাযোগ উদ্বোধন উপলক্ষে ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গার ডা. কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়ামে সুধী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হকের সভাপতিত্বে সমাবেশে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরুল্ল্যাহ বক্তব্য রাখেন।

২০০৮ সালের নির্বাচনি ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ওয়াদা দিয়েছিলেন—স্মরণ করিয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, আজকের বাংলাদেশ ডিজিটাল। এখন সবার হাতে মোবাইল ফোন। সবাই অনলাইন ব্যবহার করে।

এ সময় সমাবেশে উপস্থিত লোকজনের কাছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানতে চান- ‘কী মোবাইল ফোন আছে না হাতে, আছে? কই দেখি…’। এ সময় উপস্থিত জনতা তাদের সঙ্গে থাকা ফোন হাতে তুলে ধরে দেখান প্রধানমন্ত্রীকে। পরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই মোবাইল ফোন কে দিয়েছে? আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর…।

পদ্মা সেতু নিয়ে ষড়যন্ত্রের ঘটনা বর্ণনা করে তিনি বলেন, আমাদের একজন স্বনামধন্য ব্যক্তি সামান্য ব্যাংকের এমডি পদের জন্য… সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করে হেরে গেলো। আর সেই ক্ষোভে হিলারি ক্লিনটনকে দিয়ে ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের টাকা বন্ধ করে দুর্নাম দিতে চেয়েছিল পদ্মা সেতুর টাকায় দুর্নীতি হয়েছে। আমি চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলাম। বলেছিলাম দুর্নীতি করতে আসিনি। মানুষের সেবা করতে এসেছি।

শেখ মুজিবের মেয়ে দুর্নীতি করে না উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমি নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের চ্যালেঞ্জ নিলে অনেকে বলেছিলেন—এটা সম্ভব নয়। বাংলাদেশের টাকায় এই খরস্রোতা নদীতে সেতু করা সম্ভব নয়। আমি জানি অনেক জ্ঞানীগুণী মানুষ আমার সাথে নেই। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ আছে। বাংলাদেশের মানুষ পাশে থাকলে অসাধ্য সাধন করা যায়—সেটাই আমরা করেছি। আমরা পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছি। আজকে সেখানে রেল সেতু চালু করে দিলাম। বঙ্গবন্ধুর সুরে বলতে চাই, বাংলাদেশের মানুষকে আর কেউ দাবায় রাখতে পারবে না।

পদ্মা রেল সেতু চালুর প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আমি এসেছি একটি উপহার নিয়ে। সেটি হচ্ছে রেল। আমি রেলে করে ভাঙ্গায় এসেছি। এটা কেউ কখনও চিন্তাও করতে পারিনি। আমি আপনাদের পদ্মা সেতুর সাথে সাথে রেললাইনও উপহার দিয়ে গেলাম।

দেশকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার জন্য একমাত্র নৌকা মার্কাই সব রকম সহায়তা দেবে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন, আওয়ামী লীগ সরকার যাতে আপনাদের সেবা করতে পারে। আপনাদের কাছে আমার সেই আবেদন থাকলো। আপনাদের কাছে আমার এই আহ্বান। আজকে পদ্মা সেতুকে রেললাইন আপনাদের ‍উপহার দিয়ে গেলাম। আপনারা ফরিদপুরবাসী নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে আবারও সেবা করার সুযোগ করে দেবেন। এই আহ্বান জানাই।