দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন ওবায়দুল হাসান

সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৩

বাংলাদেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে সংক্ষিপ্ত এক অনুষ্ঠানে তাকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, রাষ্ট্রপতির স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা, মন্ত্রিসভার সদস্য, ক্ষমতাসীন দলের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য, জাতীয় সংসদের উপনেতা, সাবেক প্রধান বিচারপতি, আপিল ও হাইকোর্ট উভয় বিভাগের বিচারপতি, জাতীয় সংসদের হুইপ, তিন বাহিনীর প্রধানরা, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, অ্যাটর্নি জেনারেল, বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ও সংবাদ সংস্থার সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিক, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীসহ সুপ্রিম কোর্ট বার সমিতির নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত ১২ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন।

এদিকে, ২৩তম প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর মেয়াদ ২৫ সেপ্টেম্বর শেষ হয়েছে। শপথনামায় সইয়ের পরপরই বিচারপতি ওবায়দুল হাসান প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করবেন।

আইনজীবী ওবায়দুল হাসান ২০০৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান এবং ২০১১ সালে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে তার নিয়োগ নিশ্চিত করা হয়।

তিনি ২০২০ সালের ৩ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের বিচারক হিসেবে উন্নীত হন।

আখলাকুল হোসেন আহমেদ ও বেগম হোসনে আরা হোসেনের ছেলে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ১৯৫৯ সালের ১ জানুয়ারি নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার ছায়াশী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

তার পিতা ড. আখলাকুল হোসেন আহমেদ ছিলেন ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। তৎকালীন পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় গণপরিষদের সদস্য হয়ে তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সংবিধান প্রণয়নে অংশ নিয়েছিলেন।

২০১২ সালের ২৫ মার্চ বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত করা হয় এবং ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনি ১১টি রায় ঘোষণা করেন।

তার স্ত্রী নাফিসা বানু বর্তমানে বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য (অর্থ) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

এই দম্পতির পুত্র সন্তান ব্যারিস্টার আহমেদ শাফকাত হাসান। তিনি যুক্তরাজ্যের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক আইনের ওপর এলএলএম ডিগ্রি অর্জন করেছেন।

ওবায়দুল হাসান প্রাথমিকভাবে আইন বিভাগে অধ্যয়নের আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৮৬ সালে ঢাকা জেলা আদালতে একজন অনুশীলনকারী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন এবং ১৯৮৮ সালে হাইকোর্টে নথিভুক্ত হন।

তিনি বেশ কয়েকটি প্রবন্ধ ও গ্রন্থের রচিয়তা। খবর: বাসস