খালেদাকে বিদেশে নিতে আইনি জটিলতা আছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৩

বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আইনগত জটিলতা রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তিনি বলেন, সেখানে হয়তো আদালতের একটা অনুমোদনের প্রয়োজন হতে পারে।

তবে সেটা আইনমন্ত্রী ভালো জানেন। আইনের বাইরে আমাদের মন্ত্রণালয় কোনো কিছু করতে পারে না।
রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব উনাইসি লুতু ভুনিওয়াকার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

খালেদা জিয়াকে বিদেশ নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্রর মন্ত্রণালয়ের কোনো অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে কি না, এমন একটি প্রশ্ন উঠেছে। এমন কোনো উদ্যোগ নেওয়া হবে কি না, জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন, বেগম খালেদা জিয়া একটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি। প্রধানমন্ত্রী তার কথা চিন্তা করে দণ্ড স্থগিত করে বাসায় থেকে উন্নত চিকিৎসা নেওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। বাংলাদেশে সবচেয়ে ভালো ডাক্তার ও উন্নত একটি হাসপাতালে তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন। কোর্ট থেকে যে একটি সীমা দিয়েছিল, সেটা তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বাড়িয়ে দিয়েছি।

তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি লাগে এমন কোনো কথা নেই। যেহেতু কোর্টের এখতিয়ারাধীন বিষয় তাই কোর্টের অনুমোদন ছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এখানে কিছু করার নেই। তারা স্বরাস্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদনটি করেন। তারপর স্বরাস্ট্র মন্ত্রণালয় আইনি ব্যাখার জন্য আইন মন্ত্রলণালয়ে পাঠায়। আইন মন্ত্রণালয় যদি মনে করে, এটা কোর্টের এখতিয়ার তাহলে তারা সেটি কোর্টে পাঠিয়ে দেবেন, যদি মনে করেন প্রধানমন্ত্রী এখানে কিছু কাজ করতে পারেন এখন পর্যন্ত সেভাবেই চলছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, এখানে আইনগত জটিলতা রয়েছে। সেখানে হয়তো আদালতের একটা অনুমোদনের প্রয়োজন হতে পারে। তবে সেটা আইনমন্ত্রী ভালো জানেন। সে ক্ষেত্রে আইনের বাইরে আমাদের মন্ত্রণালয় কোনো কিছু করতে পারে না।

এ বিষয়ে কোনো আবেদন করেছে কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত কোনো আবেদন আসেনি। এরকম আবেদন এলে কী হতে পারে, সেটা আপনাদের বলার চেষ্টা করেছি।

বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ ধরনের আবেদন তারা প্রত্যেকবারই করেন— এ বিষয়ে জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খান বলেন, প্রত্যেকবারই তারা আবেদন করেন, আমরা যতটুকু মঞ্জুর করতে পারি, সেটুকুই আমরা মঞ্জুর করে দিচ্ছি। এরপর করতে হলে আদালতে যেতে হবে। আমরা আদালতের বাইরে যতখানি করতে পারি, সেটুকু আমরা করছি। আমি এর থেকে আর বেশি কিছু বলতে পারব না।