স্কুলশিক্ষিকা হত্যা মামলায় প্রেমিকসহ দুজনের যাবজ্জীবন

জুলাই ২৫, ২০২৩

সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় স্কুলশিক্ষিকা রহিমা খাতুন হত্যা মামলায় প্রেমিকসহ দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া ৩৪ ধারায় আরও তিন বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ রায় দেন সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক মো. আবুল বাশার মিয়া। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার ঝাউল উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত জসিম উদ্দিনের ছেলে এবং নিহত রহিমা খাতুনের প্রেমিক হাবিবুর রহমান হাবিব (৪১), একই থানার চৌধুরী ঘুঘাট গ্রামের রমজান আলীর ছেলে আইয়ুব আলী (৪৩)।

মামলার অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, রহিমা খাতুন (২২) নিজ বাড়িতে থেকে ব্রাক সমিতির আনন্দ স্কুলে শিক্ষিকা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এমতাবস্থায় ২০১৮ সালের ৩০ মে সলঙ্গা থানার বেতুয়া গ্রামের আক্তার হোসেনের জমির পূর্ব পাশে বাবলা তলা খালের কিনারে হাঁটু পানিতে রহিমা খাতুনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা তার পরিবারকে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। পরবর্তী‌তে এ ঘটনায় নিহতের ভাই নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে সলঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তদন্ত চলাকালে পিবিআই রহিমা খাতুনের প্রেমিক হাবিবুর রহমান হাবিবকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় রহিমা খাতুনের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। উভয়ের মধ্যে বিবাহ নিয়ে বিরোধ চলছিল। একপর্যায়ে হাবিবুর রহমান হাবিব তার সহযোগী আইয়ুব আলীকে সঙ্গে নিয়ে রহিমা খাতুনকে হত্যা পরিকল্পনা করে। পরে পরিকল্পনা অনুযায়ী রহিমা খাতুনকে হত্যা করে খালের পাশে মরদেহ ফেলে রাখে। অন্যদিকে হাবিবুর রহমান হাবিব আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।

অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ আদালতের পেশকার লিটন ভূঁইয়া জানান, তদন্ত শেষে পিবিআই হাবিবুর রহমান হাবিব ও আইয়ুব আলীকে আসামি করে ২০১৯ সালের ৭ মে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করে। পরে মামলার সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় এ রায় দেন আদালত।