টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে পর্যটকসহ সাবমেরিন নিখোঁজ

জুন ২০, ২০২৩

শত বছর আগে আটলান্টিক সাগরের মাঝে ডুবে যায় বিশালাকৃতির পর্যটকবাহী জাহাজ টাইটানিক। যা নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। সাগরের তলদেশে কী অবস্থায় আছে এটি, গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন অনেকে। প্রায়শই নতুন ছবি প্রকাশ করে কৌতূহলের মাত্রা আরও বাড়িয়ে তুলছে সাধারণ মানুষের মাঝে। কিন্তু রবিবার টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে ঘটলো বিপত্তি। পর্যটকসহ একটি সাবমেরিন নিখোঁজ। উদ্ধারকারী দল সাগরে তন্নতন্ন করে সন্ধান চালালেও এখনও হদিস মেলেনি। সোমবার মার্কিন কোস্টগার্ড জানিয়েছে, পর্যটকাবাহী সাবমেরিনটিতে আর ৭২ ঘণ্টার অক্সিজেন রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ড জানিয়েছে, ডুবে যাওয়ার প্রায় এক ঘণ্টা ৪৫ মিনিটের মাথায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। হারিয়ে যাওয়া ডুবো যানটির নাম ‘টাইটান’

 

ট্যুর ফার্ম ওশানগেট জানিয়েছে, টাইটানে থাকা পাঁচ জনকে উদ্ধারে সব ধরনের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

কিন্তু হাতে খুব একটা সময় নেই। টাইটানের অক্সিজেন চারদিন পর্যন্ত থাকবে। ফলে যা করার এর মধ্যে করতে হবে। সরকারি সংস্থা, মার্কিন ও কানাডার নৌবাহিনী এবং বাণিজ্যিক গভীর সমুদ্র সংস্থাগুলো উদ্ধার অভিযানে সহায়তা করছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ড প্রদেশের সেন্ট জন শহর থেকে টাইটানের যাত্রা শুরু হয়। আটলান্টিকের তলদেশে যেখানে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ রয়েছে, সেখান থেকে দূরত্ব ৬০০ কিলোমিটার। টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ থেকে ঘুরিয়ে আনতে সাবমেরিনটির সময় লাগতো প্রায় আট ঘণ্টা।

সাগরের ১২০০ ফুট গভীরে টাইটানিকের ধ্বংসস্তূপ ঘুরে দেখাসহ আটদিন ভ্রমণের জন্য টিকিটের দাম ২ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। ডুবে যাওয়া যানটিতে একজন ধনকুবের ছিলেন বলেও জানা গেছে। নিখোঁজ ডুবোজাহাজে পাঁচজন যাত্রী বহনে সক্ষম।

মার্কিন কোস্টগার্ডের কর্মকর্তা রিয়ার অ্যাডমিরাল জন মুগ সোমবার সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘আমরা ধারণা করছি এ মুহূর্তে ৭০ থেকে ৯৬ ঘণ্টা সময় (অক্সিজেন) আছে।’

সন্ধানে দুই অনুসন্ধাকারী বিমান, একটি সাবমেরিন যুক্ত হয়েছে। আটলান্টিকে উদ্ধার অভিযান চালানোটা বেশ জটিল মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। সূত্র: বিবিসি