যমুনা নদী নিয়ে প্রকল্প থাকবে, রিট খারিজ

জুন ১২, ২০২৩

যমুনা নদীকে ছোট করা হচ্ছে এমন অভিযোগ করে একটি প্রকল্প চ্যালেঞ্জ করা রিট খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। সোমবার (১২ জুন) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মোহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। আদালতে রিটের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মনজিল মোরসেদ। আর পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষে ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির আইন উপদেষ্টা অরবিন্দ কুমার রায়।

যমুনা নদী ছোট করার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে আদালতকে জানায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। রোববার (১১ জুন) এ সংক্রান্ত নথি উপস্থাপন করে অ্যাডভোকেট অরবিন্দ কুমার রায় আদালতকে এ তথ্য জানান।

আইনজীবী অরবিন্দ কুমার রায় বলেন, ‘যমুনা নদী যে প্রজেক্ট পরিকল্পনা করা হয়েছে তাতে যমুনা নদী ছোট করার কোনো পরিকল্পনা নেই। এই নদী নিয়ে শত বছরের একটা ডেল্টা প্ল্যান রয়েছে। সেইখানে নদীটিকে নিয়ে হয়তো কোনো পরিকল্পনা থাকতে পারে। যেখানে নদীতে ড্রেজিং এবং ক্যানেলাইজড করা। কিন্তু আমরা আদালতকে দেখিয়েছি বর্তমানে নেয়া পরিকল্পনায় যমুনা নদীকে ছোট করার কোনো পরিকল্পনা নেই।’

তিনি আরো বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিকবিষয়ক উপদেষ্টা ও বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার পর নদী খনন ও সংস্কারের যে প্রকল্পটি নেয়া হয়েছে তা প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এখনও এই প্রকল্পের অনুমোদন হয়নি। এই প্রকল্পটি এখন প্রিম্যাচিউরড।’

রিটের পক্ষে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘যমুনা নদী ছোট করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে এমন সংবাদ প্রকাশ হলে আমরা রিট করি। আদালত ওই রিটের শুনানি প্রজেক্টের সব নথি তলব করে। পরে পাউবো সব নথি জমা দিয়ে জানায়, যমুনা নদী ছোট করার পরিকল্পনা সরকারের নেই। সব শুনে আদালত রিটটি খারিজ করে দিয়েছে। এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিলের প্রয়োজন নেই। কেননা আমরা যে উদ্দেশে রিট করি সেটি কিন্তু চলে এসেছে।’

‘যমুনা নদী ছোট করার চিন্তা’ শিরোনামে ১১ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনটি যুক্ত করে মে মাসের প্রথম সপ্তাহে হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিট করে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ।

রিটে এই পরিকল্পনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর বিধি ২ অনুসারে অসদাচরণ করেছেন অভিযোগ তুলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়।

রিটের প্রাথমিক শুনানির পর ২১ মে হাইকোর্ট প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের তালিকা চায়। সেসঙ্গে প্রকল্পটি চূড়ান্ত করা হয়েছে কি না এবং প্রকাশিত প্রতিবেদনটির সত্যতা কতটুকু তা জানতে চাওয়া হয়। ওই নির্দেশ অনুসারে রোববার আদালতে প্রকল্পের নথি উপস্থাপন করে পাউবো।