মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নতুন কোনও খবর নেই

জুন ১, ২০২৩

নতুন অর্থবছরের বাজেটে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নতুন কোনও বরাদ্দ বা খবর নেই। তবে চলমান সব কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১ জুন) জাতীয় সংসদে ডিজিটাল প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান হিসেবে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণ নিশ্চিত করা এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, স্মৃতি ও স্মারক সংরক্ষণে আমাদের সরকার প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে আমরা যে সব ভাতা প্রদান করে আসছি, তার ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।’

ইতোমধ্যে জীবিত মুক্তিযোদ্ধা এবং মৃতদের ক্ষেত্রে পরবর্তী সুবিধাভোগীদের নাম ও পরিচিতি নিশ্চিত করে তাদের পূর্ণাঙ্গ তথ্য সংবলিত ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম এমএস) প্রস্তুত করা হয়েছে। জি-টু-পি পদ্ধতিতে সরাসরি ভাতাভোগীদের ভাতা প্রদান প্রক্রিয়ায় এ ডাটাবেজ ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়া, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পরিচিতি নিশ্চিতকল্পে তাদের অনুকূলে স্মার্ট কার্ড ও ডিজিটাল সনদ প্রদানের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণের জন্য ৩০ হাজার ‘বীর নিবাস’ নির্মাণের কাজ চলছে। ইতোমধ্যে ৫ হাজার নিবাস হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রত্যেক বীর মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুর পর কবর/সমাধি একই নকশায় (ডিজাইনে) নির্মাণের কাজও চলমান আছে।

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ধরে রাখার কাজ অব্যাহত

বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী জানান, মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক স্থানগুলো সংরক্ষণ ও স্মৃতি জাদুঘর নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ৬৪ জেলার ২৯৩টি উপজেলার ৩৬০টি স্থানে স্মৃতিস্তম্ভ/জাদুঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। ২৭১টি ঐতিহাসিক স্থানে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের কাজ ইতোমধ্যেই সমাপ্ত হয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী ভারতীয় মিত্রবাহিনীর ১ হাজার ৬৬১ জন সদস্যের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ করার উদ্দেশ্যে ‘বীরের কণ্ঠে বীর গাঁথা’ প্রকল্পের মাধ্যমে সব জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের বক্তব্য রেকর্ডের জন্য কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।