৭ কোটি টাকার সোনার বারসহ তিন জন গ্রেফতার

মার্চ ১৪, ২০২৩

রাজবাড়ীর পাংশায় অভিযান চালিয়ে সাত কেজি তিনশ’ গ্রাম সোনার বারসহ তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে পাংশা উপজেলার বাবুপাড়া ইউনিয়নের পাংশা-চাঁদপুর গ্রামের আব্দুল হালিম নামে এক ব্যক্তির বাড়ির সামনে থেকে তাদের আটক করা হয়। জব্দ সোনার বারের মূল্য আনুমানিক সাত কোটি টাকা বলে ধারণা করছে পুলিশ।

মঙ্গলবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার (এসপি) এমএম শাকিলুজ্জামান।

আটক তিন জন হলো– রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের বড় বনগ্রামের আবদুল খালেক বিশ্বাসের ছেলে নাহিদুল ইসলাম (২০), বাবুপাড়া ইউনিয়নের হাজরাপাড়া গ্রামের শুকুর আলী শেখের ছেলে সাত্তার শেখ (৩৩) এবং কুষ্টিয়ার খোকসা ইউনিয়নের ওসমানপুর গ্রামের আয়েন উদ্দিনের ছেলে জহুরুল ইসলাম (৩৫)।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে পাংশা থানাধীন বাবুপাড়া ইউনিয়নের পাংশা-চাঁদপুর গ্রামের আব্দুল হালিমের বাড়ির সামনের পাকা রাস্তার উপরে পুলিশের টিম দেখে একটি মোটরসাইকেলে দুই ব্যক্তি দ্রুতগতিতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশের সন্দেহ হলে তাদের গতিরোধ করে। তারা মোটরসাইকেল রেখে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশের টিম তাদের আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কথায় সন্দেহ হলে ঘটনাস্থলের পাশের বাড়ি থেকে তাহমিনা, স্থানীয় ইউপি সদস্য মোস্তফা ও ইসলাম শেখসহ উপস্থিত লোকজনের সামনে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে সাত্তার জানায়, সে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তার পাশে তিনটি সোনার বার ফেলে দিয়েছিল। আসামি সাত্তারের দেখানো স্থান থেকে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে তিনটি সোনার বার উদ্ধার করা হয়। পরে পাংশা থানার ওসিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে আসামি নাহিদের জুতার ভেতর থেকে স্কচটেপে মোড়ানো সাতটিসহ ১০টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার সোনার ওজন আনুমানিক সাত কেজি ৩শ গ্রাম।

প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে, এই সোনার চালানটি ঢাকা থেকে এই রুট ব্যবহার করে ভারতে পাচার হচ্ছিল। এ ব্যপারে অধিকতর তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।

আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন। আসামিসহ জব্দ সোনার বার আদালতে পাঠানো হবে।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সালাহ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) রেজাউল করিম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল ইফতেখায়রুজ্জামান, পাংশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান, গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।