আ.লীগকে রাজপথে দেখলে বিএনপির গায়ে কাঁটা বিঁধে: তথ্যমন্ত্রী

ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৩

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগকে রাজপথে দেখলে মনে হয় বিএনপির গায়ে কাঁটা বিঁধে। সরকারি দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে দেশে যাতে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে। আওয়ামী লীগ রাজপথের দল, রাজপথেই থাকবে। বিএনপির কর্মসূচির দিকে আমরা সতর্ক দৃষ্টি রেখে শান্তি সমাবেশ করছি। কারও সঙ্গে পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছি না। আমাদের স্বাভাবিক কর্মসূচি আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে।’

শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট-পোর্ট লিঙ্ক রোডে জেলা প্রশাসন আয়োজিত ‘ডিসি পার্কে’ চট্টগ্রাম ফুল উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ রাজপথের দল, আমাদের কর্মীরা রাজপথ থেকে গড়ে ওঠা কর্মী। কারও সঙ্গে পাল্টা কর্মসূচি আমরা দিচ্ছি না, আমরা আমাদের স্বাভাবিক কর্মসূচি দিচ্ছি। আমাদের এই স্বাভাবিক কর্মসূচি আগামী নির্বাচন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।’

ফুল উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে সাজাতে চান। আমরা দেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় নিয়ে যেতে চাই। স্বপ্নের ঠিকানা হচ্ছে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে রূপান্তর করতে চাই। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ জয় করতে পেরেছি। দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রেও আমরা বহু দূরে এগিয়ে গেছি। আমরা এমন একটি দেশ গড়তে চাই, যে দেশ শুধু বস্তুগত দিক দিয়ে উন্নত নয়, যে দেশ হবে একটি মানবিক দেশ এবং একটি সামাজিক কল্যাণ রাষ্ট্র।’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘পরিবেশের উন্নয়ন ঘটিয়ে আমরা এমন একটি দেশ গঠন করতে চাই, যেই দেশ পৃথিবীকে পথ দেখাবে, মানবিকতার পথ দেখাবে, সামাজিক রাষ্ট্র গড়ে দুর্গতপীড়িত মানুষের দায়িত্ব নেবে। বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন এঁকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে চলেছেন।’

আ.লীগকে রাজপথে দেখলে বিএনপির গায়ে কাঁটা বিঁধে: তথ্যমন্ত্রী
চট্টগ্রামে মেট্রোরেল করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু টানেলের কাজ প্রায় শেষ। এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায়। এটি দক্ষিণ এশিয়ায় নদীর তলদেশ দিয়ে প্রথম সড়ক টানেল। এত দীর্ঘ টানেল উপমহাদেশের আর কোথাও নেই। চট্টগ্রামে মেট্রোরেল করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেটির ফিজিবিলিটি স্টাডির কাজ শুরু হয়েছে। উড়ালসড়ক হয়েছে, আরও হচ্ছে। গত ১৪ বছর এভাবে চট্টগ্রামের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। আরও উন্নয়ন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।’

পুষ্পমেলা আয়োজনের জন্য জেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সমুদ্রের পাড়ে এরকম নয়নাভিরাম একটা জায়গায় বিস্তৃত জলাশয় আছে, চারপাশে গাছপালা। পর্যটকদের জন্য এটি একটা বাড়তি পাওনা হয়েছে। চট্টগ্রাম শহরের জন্যও একটা বাড়তি পাওনা। আমি আশা করবো প্রতিবছর এই জায়গায় তিন মাসব্যাপী পুষ্পমেলা হবে। এই মেলা শুধু চট্টগ্রাম নয়, সারা দেশের মানুষের আকর্ষণ হবে। প্রয়োজনে এখানকার জলাধারে ভাসমান ফুলের বেড করা যায়।’

জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. আমিনুর রহমান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহাবুবুল আলম, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফ্ফর আহমদ, সীতাকুণ্ডের ইউএনও মো. শাহাদাত হোসেন।