শেখ হাসিনা যা পরিকল্পনা করেন, তা বাস্তবায়ন করেন: মতিয়া চৌধুরী

জানুয়ারি ২০, ২০২৩

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের উপনেতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, শেখ হাসিনার পরিকল্পনা যেখানে যায়, আমরা পেছনে দৌড়াই। একসময় কাগজে লেখা হতো, ‘পরিকল্পনার পরী উড়িয়া গিয়াছে কল্পনা বসিয়া আছে।’ আমাদের দেশেও তদ্রূপ দেখা যেতো। কিন্তু শেখ হাসিনা যখন পরিকল্পনা করেন, তা বাস্তবায়নও হয়ে যায়। পরীরাও কল্পনা বাস্তবায়নে সাহায্য করে।’

শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) মিলনায়তনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ‘জাতির পিতার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন: ভেঙেছে দুয়ার এসেছে জ্যোতির্ময়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘তার (শেখ হাসিনা) পিতা বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া শিক্ষা, ড. কুদরতে খোদা কমিশনের ওপর ভিত্তি করে তিনি আজ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখছেন। আমাদের রাজনীতিতে কিছু অগর কবিরাজ আছে। কিছু ডক্টর, ডিগ্রিধারীও আছেন, তাদেরও একই অবস্থা। অথচ আজকে তাদের ভবিষ্যৎ বাণী সফল হয় নাই। বঙ্গবন্ধুকে যদি হত্যা করা না হতো, উনি নিজেই মিথ্যা ভবিষ্যৎবাণীকে মিথ্যায় পরিণত করে বাংলাদেশকে শুধু স্বাধীন দেশ হিসেবে নয়, একটি ভিত্তির ওপর আধুনিক বাংলাদেশ বাস্তবায়িত করতে পারতেন।’ এসময় তিনি স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শেখ হাসিনার পাশে থাকার জন্য সবার প্রতি আহ্বান করেন।

তিনি আরও বলেন, ‘‘১০ জানুয়ারি বিমান এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করে। সেদিন অহরহ মানুষ বঙ্গবন্ধুকে একটু ছুঁয়ে দেখার উদ্দেশ্যে চেয়ে থাকছিল। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জনগণকে অনুরোধ করছিল— বঙ্গবন্ধুকে বিমান থেকে নামতে জায়গা করে দেওয়ার। কিন্তু কে শুনে কার কথা। সবাই বঙ্গবন্ধুকে ছুঁয়ে দেখতে চেয়েছিল। আমরা জানি, বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানের কারাগারে অনেক নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে। এমনকি কারাগারের পাশে কবরের নির্যাতনের দৃশ্যগুলোও দেখানো হলো। সেদিন বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘তোমরা আমাকে ফাঁসি দেবে আমি জানি, কিন্তু আমার মৃতদেহ বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেবে।’ এই দেশের মাটি তিনি জীবিত অবস্থায় আর স্পর্শ করতে পারবেন কিনা, সেই সন্দেহে দিনযাপন করছিলেন কারাগারে। অবশেষে তিনি জ্যোতির্ময় হিসেবে আবির্ভূত হলেন বাংলার মাটিতে।’’

ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত।