গুলশানে গুলির ঘটনায় মামলা, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাসহ গ্রেফতার ৩

জানুয়ারি ১৬, ২০২৩

রাজধানীর গুলশান-১-এ গ্লোরিয়া জিন্স ক্যাফের পাশে আলফা স্টোরে গুলির ঘটনায় গাড়িচালক আমিনুল ইসলাম মামলা করেছেন। রবিবার (১৫ জানুয়ারি) মধ্যরাতে এ মামলা করা হয়। সোমবার (১৬ জানুয়ারি) গুলশান থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আমিনুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

মামলার আসামিরা হলেন– ঢাকা মহানগর উত্তর সেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল ওয়াহিদ মিন্টু, ওমান প্রবাসি আরিফ হোসেন, তার ভগ্নিপতি মনির হোসেন। ওই তিন জনকে গতকাল ঘটনাস্থল থেকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। পরে মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়। এছাড়া মামলায় তিন জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম জানান, রবিবার বিকালে বিকাশ করে টাকা না দেওয়ায় ওমান প্রবাসী আরিফ হোসেনকে আটক করেন গ্লোরিয়া জিন্স ক্যাফের পাশের একটি বিকাশ দোকানের মালিক হাবিবুর রহমান আলিফ। এরপর পরিচিতদের ফোন করেন আরিফ। ফোন পেয়ে মনির আহমেদ ও মিন্টুসহ চার-পাঁচ জন ঘটনাস্থলে এসে আরিফকে ছাড়িয়ে নিতে চেষ্টা করেন। কিন্তু দোকানিরা বাধা দিলে ওয়াহিদ গুলি ছোড়েন। তার ছোড়া গুলিতে গাড়িচালক আমিনুল ইসলাম এবং রহিম নামে এক ভ্যানচালক গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনায় আরিফ হোসেন, তার ভগ্নিপতি মনির হোসেন ও মিন্টুকে আটক করা হয়। রবিবার রাতেই গুলশান থানায় মামলা করেন আমিনুল। ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ড আবেদনসহ তিন আসামিকে আদালতে পাঠানো হবে।

ঘটনার দিন মো. মহিউদ্দিন নামে এক ব্যক্তি গ্লোরিয়া জিন্স কফি শপে নাস্তা করতে আসেন। আমিনুল ইসলাম তার গাড়ির চালক। আমিনুলের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ। ভ্যানচালক আব্দুর রহিম মিয়ার (৫০) গ্রামের বাড়ি বরিশালের উজিরপুর চকমানে।

এর আগে, গতকাল রাতে গুলশান থানায় উপস্থিত হয়ে উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) আব্দুল আহাদ বলেন, রবিবার বিকাল আনুমানিক ৪টার দিকে গ্লোরিয়া জিন্স ক্যাফের পাশে আলফা স্টোর নামে একটি ফ্লেক্সিলোডের দোকানে আরিফ হোসেন ৭৫ হাজার টাকা বিকাশ করেন। কিন্তু পরে তিনি দোকানিকে টাকা দিতে পারেন না। এতে দোকানি তাকে আটক করেন। টাকা না দিয়ে যেতে পারবেন না বলে জানান। এক পর্যায়ে আটক আরিফ তার ভগ্নিপতি মনির হোসেনকে ফোন করে। ফোন পেয়ে মনির আরও চার-পাঁচ জনকে নিয়ে ফ্লেক্সিলোডের দোকানে আসেন আরিফকে নিয়ে যাওয়ার জন্য।

ওই ঘটনায় ভুক্তভোগীদের উদ্ধার করে ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে গাড়িচালক আমিনুল ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ভ্যানচালক আব্দুর রহিম চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরেছেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, ১৬ রাউন্ড গুলি, সাতটি গুলির খোসা ও চারটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয় বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।