সৃজনশীল প্রশ্নে নেপাল-গোপাল: সাম্প্রদায়িকতার সামাজিকীকরণ

নভেম্বর ১৪, ২০২২

২০২২ সালের এইচএসসির বাংলা বিষয়ের সৃজনশীল প্রশ্ন প্রণয়ন নিয়ে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্পের যে কুণ্ডলী দেখছি, তাতে সবাই চমকে উঠলেও আমি মোটেও বিস্মিত হয়নি। কারণ, এতদিন যা সমাজের বিভিন্ন স্তরে জায়গা করে নিয়েছিল, এখন তা নতুন করে জায়গা করে নিয়েছে পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে। এর কারণ শিক্ষকরা এই সমাজেরই অংশ।

মনে রাখা দরকার, সমাজে যা ঘটে, বাস্তবে তা ব্যক্তিকে প্রভাবিত করে। তবে এটি যে প্রশ্নপত্রে জায়গা করে নিতে পারে, এমনটি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। সমাজে ছড়িয়ে পড়া সাম্প্রদায়িকতা রোধে ভূমিকা রাখার গুরুদায়িত্ব যাদের, তাদের অন্যতম হচ্ছেন শিক্ষক। শিক্ষক হিসেবে প্রশ্ন প্রণয়নকারী ও মডারেটর কেউই সে দায়িত্ব পালন করতে পারেননি। আর সে কারণেই বিষয়টি প্রশ্নপত্রে জায়গা পেয়েছে।

বিষয়টি সাম্প্রদায়িক এটা বুঝতে রকেট সায়েন্স জানতে হয় না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে বলছেন— এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে করা হয়েছে। আবার বেশিরভাগ মানুষ শিক্ষকদের যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন। তাহলে প্রশ্ন জাগে, প্রশ্নকর্তা ও আরও চার জন মডারেটর কেউ বুঝতে পারলেন না? কিন্তু কেন? সবাই কি অযোগ্য?

আজকের মূল আলোচনা সেখানেই। সাম্প্রদায়িক উসকানি, মানুষকে খাটো করা বা ঘৃণা ছড়ানো এবং নারী সম্প্রদায়কে ছোট করার বিষয়টি আমরা দীর্ঘদিন থেকে লক্ষ করছি। কিন্তু পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নে এসে তা হাজির হওয়া আমাদের কাছে আতঙ্কের। ভয়ংকর এই পরিস্থিতি কেবল প্রত্যক্ষ করতে শুরু করেছি মাত্র। এখনই ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।

সমাজের বিভিন্ন স্তর, শ্রেণি ও পেশার মানুষের মধ্যে ঘৃণা ছড়ানোর প্রবণতা যেভাবে আমরা সহ্য করতে শিখে গেছি, শিক্ষকদের বেলায় এখনও কেউ তা হজম করতে অভ্যস্ত হইনি। শিক্ষকরাই যখন মানুষ গড়বেন, তখন সবাই ঘৃণা ছড়ালেও শিক্ষকরা অন্তত ঘৃণা ছড়াবেন না এমনটাই আমাদের মানসিকতা। যদিও যেকোনও ক্ষেত্রেই এটি হজম করা সমাজের জন্য ভয়ংকর।

গত কয়েক দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়গুলো নিয়ে সমালোচনা অব্যাহত রয়েছে। গোটা শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে। মানুষ সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছে, বিচার দাবি করছে। আমিও এই অপরাধের বিচার চাই। কারণ, শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালনে এরা ব্যর্থ হয়েছেন শুধু তাই না, দেশের সংবিধান ও রাষ্ট্রের আইন অমান্য করেছেন এবং প্রশ্নপত্র প্রণয়নে কেউ গাইডলাইন ফলো করেননি। হতে পারে গাইডলাইনের ওপর গুরুত্বই দেননি তারা।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে মন্তব্য করেছেন কঠোর শাস্তি হলে এমন কাজ কেউ করবেন না। সত্যিই কি তাই? শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিলে কি রাতারাতি সমাজ পাল্টে যাবে? হয়তো প্রশ্নপত্রে আসবে না কিন্তু সাম্প্রদায়িকতা কি সমাজ থেকে বিদায় নেবে? যতক্ষণ সমস্যার গভীরে ঢুকে স্থায়ী সমাধানের পদক্ষেপ না নেওয়া হবে, ততক্ষণ সমাজ পাল্টাবে না।

সৃজনশীল এই প্রশ্ন প্রণয়ের বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে, প্রশ্নপত্র তৈরি করেছে যশোর শিক্ষা বোর্ড। প্রশ্ন প্রণয়ন করেছেন ঝিনাইদহের মহেশপুরের ডা. সাইফুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক প্রশান্ত কুমার পাল। প্রশ্নপত্র মডারেট করেছেন নড়াইলের সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ তাজউদ্দিন শাওন, সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মো. শফিকুর রহমান, নড়াইলের মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের সহকারী অধ্যাপক শ্যামল কুমার ঘোষ ও কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা আদর্শ কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম।

নেপাল ও গোপালের ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন প্রণয়নকারী শিক্ষক সনাতন ধর্মাবলম্বী। বাস্তবের নেপাল-গোপালের বিরোধ উদ্দীপকের মাধ্যমে হয়তো তিনি তুলে ধরতে চেয়েছেন। যা গর্হিত কাজে পরিণত হয়েছে। আর যারা প্রশ্ন সংশোধন করেছেন তারা মুসলিম ধর্মাবলম্বী। তারাও দায়িত্ব পালন করতে পারেননি। অপরাধ করেছেন। তাহলে সাম্প্রদায়িক বিষয় স্পষ্ট হলেও পাঁচ জন শিক্ষকের একজনও বিষয়টি বুঝে উঠতে পারলেন না কেন?

গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, প্রশ্ন প্রণয়ন যিনি করেছেন তার আপন দুই মামা উদ্দীপকের নেপাল ও গোপাল চরিত্র। বাস্তবের গোপাল সত্যিই কষ্ট পেয়ে সপরিবারে ভারতে চলে গেছেন কিনা সে তদন্ত হয়নি। তবে উদ্দীপকে বাস্তবতা টেনে আনা হয়েছে, গণমাধ্যমের খবরে এমনটাই ফুটে উঠেছে। তার মানে দাঁড়াচ্ছে, প্রশ্নকর্তা তার মনের মধ্যে যা জমা রেখেছিলেন সেটাই প্রশ্নপত্রে ঢেলে দিয়েছেন। সমাজ বাস্তবতা তাকে এমন জায়গায় নিয়ে গেছে যে উদ্দীপক নির্বাচন ও প্রশ্ন তৈরি করার সময় তিনি শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন। রীতিমতো অপরাধ করেছেন। কিন্তু তিনি শিশুমনে ঘৃণা ছাড়ানোর জন্য তা করেছেন বলে আমার মনে হয়নি। হতে পারে সাম্প্রদায়িক মনোভাবের কারণে তিনি বুঝতেই পারেননি। যদিও বুঝতে না পারা সমীচীন বলে দাবি করা যায় না। তবে এটুকু স্পষ্ট যে বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক কোনও ঘটনার প্রভাব এই উদ্দীপকে রয়েছে। আরও স্পষ্ট করলে দাঁড়ায়, দেশে সাম্প্রদায়িক ঘটনা যা ঘটে, তা আমরা খুব বেশি আমলে নিই না।

যখন সৃজনশীল প্রশ্নে সাম্প্রদায়িকতা জায়গা করে নিয়েছে, যদি ঘুমিয়ে থাকি, আর প্রচার করি আমরা সবচেয়ে অসাম্প্রদায়িক, তাহলে প্রশ্নপত্র থেকে পাঠ্যবইয়ে জায়গা করে নেবে সাম্প্রদায়িকতা। কারণ, সাম্প্রদায়িকতার সামাজিকীকরণ এমন এক জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে, ধর্মের নামে সব সাম্প্রদায়িকতা হালাল বলে চালিয়ে দেওয়া যাচ্ছে। সম্প্রতি কিছু বক্তার ওয়াজে তেমনটাই লক্ষ করা গেছে।

এবার দেখা যাক কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের স্থগিত হওয়া বাংলা-২ সৃজনশীল প্রশ্ন। একজন লেখককে উদ্দীপক ধরে প্রশ্ন প্রণয়ন করা হয়েছে।

এই উদ্দীপকে ‘খাপছাড়া’ আর ‘সমাদৃত হন না’ বলে লেখককে খাটো করা হয়েছে। বস্তুত প্রশ্নকর্তার মনের মধ্যে যা পুষে রেখেছিলেন সেটি ব্যবহার করেছেন। প্রশ্নে তাকে আরও খাটো করা হয়েছে, যা সত্যিই ঘৃণা ছড়ানোর মতো অপরাধ। কোনও লেখকের লেখা ‘খাপছাড়া’ হলে তার সমালোচনা করার অনেক জায়গা রয়েছে। গণমাধ্যমে লিখেও তার সমালোচনা করা যেতে পারে। কিন্তু শিশুদের মনের মধ্যে একজন লেখক সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরির সহায়ক উদ্দীপক নির্বাচন করতে পারেন না কোনও শিক্ষক।

তাহলে এমনটা কেন হচ্ছে? কারণ একটাই, সাম্প্রদায়িকতার সামাজিকীকরণ, নিজের সম্প্রদায়কে শ্রেষ্ঠ প্রমাণের প্রতিযোগিতা, অন্য সম্প্রদায়কে হেয় করার চেষ্টা। শেষ উদ্দীপকের আলোচনার পর পাঠকরা আরও স্পষ্ট করে বুঝতে পারবেন বলে আশা করি।

বিতর্কিত শেষ উদ্দীপক নিয়ে খুব বেশি আলোচনা না হলেও বিষয়টি গুরুত্ব দিতে হবে। সাম্প্রদায়িক হীনম্মন্যতা ছাড়াও শিক্ষকদের জেন্ডার সচেতনতার অভাব রয়েছে বলে আমার কাছে মনে হয়েছে। যদিও সেটিই চূড়ান্তভাবে মেনে নিতে হবে তা নয়। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের বাংলা-২ প্রশ্নপত্রের এই উদ্দীপকটি হচ্ছে— ‘ফারজানা উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত একজন কলেজ শিক্ষিকা। অনেক আগেই তার বিয়ের বয়স পেরিয়েছে, তাই তিনি বিয়ে করেননি। ছাত্রজীবনে ভালোবেসে ছিলেন ব্যক্তিত্বহীন একজনকে। কারণ, বাবা-মার যৌতুকের চাপের মুখে সে ফারজানাকে বিয়ে করার কথায় অস্বীকৃতি জানায়। এরপর থেকে ফারজানা তার কলেজ আর একাকিত্ব জীবনযাপন করে। ’

উদ্দীপক নির্বাচনকারী হয়তো বুঝতেই পারেননি শিশুমনের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া তৈরি করবে। নারী শিক্ষার্থীদের সচেতন করতে এমন উদ্দীপক হাজির করা হয়েছে, তা বিবেচনায় নেওয়া যায় না। কিন্তু নারী শিক্ষার্থীদের মনের মধ্যে এই উদ্দীপকের মাধ্যমে নেতিবাচক চাপ তৈরি হতে পারে। উচ্চশিক্ষা না নিয়ে তাড়াতাড়ি বিয়ে না করলে ফারজানার মতো অবস্থা হবে, এমনটি কোনও নারী শিক্ষার্থীর ভাবনার কারণ হতে পারে, সেটিও কি তিনি বুঝে উঠতে পারেননি? তাছাড়া কী কারণে বিয়ে করেননি এমন ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের বিষয়টি উদ্দীপকের মাধ্যমে আলোচনা শিশু শিক্ষার্থীদের কাছে কতটা যৌক্তিক তা অস্পষ্ট। উদ্দীপকে নারীর বেদনাকে হাইলাইট না করে যৌতুকটাকে বেশি হাইলাইট করলে শিক্ষার্থীদের জন্য তা শিক্ষণীয় হতে পারতো। এখানে শিক্ষকের জেন্ডার সচেতনতারও অভাব লক্ষণীয়।

এ পর্যায়ে পাঠকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে, আলোচনাটি নেপাল-গোপাল এবং সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে। তাহলে অন্য দুটি উদ্দীপককে এই ইস্যুতে টেনে আনলাম কেন? এ কারণেই যে তিনটি বিষয়ই সাম্প্রদায়িক। কোনোটি ধর্মীয়, কোনোটি শ্রেণি বা পেশা সম্প্রদায়ের। নেপাল ও গোপালের বিষয়টি যেমন ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক, তেমনি একজন লেখককে ঘৃণা ছাড়ানোর বিষয়টিও সাম্প্রদায়িক মানসিকতা। আর নারীকে দুর্বল অসহায় ভাবার মানসিকতা থেকে নারী সম্প্রদায় হিসেবে উদ্দীপকে উত্থাপিত হয়েছে।

লেখক, বুদ্ধিজীবী ও সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশাজীবীদের পেশা উল্লেখ করে যেভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গালিগালাজ চলে তা এক ধরনের সাম্প্রদায়িকতা। এটা কোনও একটি সম্প্রদায়কে উদ্দেশ্য করে ঘৃণা ছড়ানো। আর পুরুষতন্ত্র যেভাবে নারীকে হেয় করে, সেটাও নারী সম্প্রদায়কে হেয় করা। পুরুষতন্ত্রও শ্রেষ্ঠত্ব জাহির করার সাম্প্রদায়িক মানসিকতা পোষণ করে।

আমরা যেন সাম্প্রদায়িকতাকে বেছে নিয়ে মানুষের প্রতি ঘৃণা ছড়ানোর প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েছি। ধর্মনিরপেক্ষ দেশে একমুখী শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তে নানামুখী শিক্ষা ব্যবস্থার প্রচলন করা হয়েছে। এর ফল তো আমাদের পেতেই হবে। শুধু শিক্ষা ব্যবস্থাকে গালি দিলে রাতারাতি সব ঠিক হয়ে যাবে তাও নয়। কারণ, সাম্প্রদায়িকতার সামাজিকীকরণ বিগত সময় যেভাবে হয়েছে, তার ফল আমরা পেতে শুরু করেছি মাত্র।

বাকস্বাধীনতা আমরা সবাই চাই, কিন্তু অন্যের সমালোচনা শুনতে মোটেই রাজি নই। যদিও মৌলবাদীরাও মুখে বাকস্বাধীনতা দাবি করেন সরকারের কাছে।

অনেকে বলে থাকেন, ধর্মের সামাজিকীকরণ অতিমাত্রায় হয়ে গেছে, সে কারণে সাম্প্রদায়িকতা সমাজে বিরাজমান। আমি বলতে চাই, ধর্মের অপব্যাখ্যা ও অতিমাত্রায় সামাজিকীকরণ সাম্প্রদায়িকতার চর্চা শুরু করেছিল। তবে এখন তা স্থায়ীরূপ লাভ করছে। কট্টোর ধর্মীয় সম্প্রদায় যেমন নিজ নিজ সম্প্রদায়কে শ্রেষ্ঠ মনে করেন; একইভাবে নারী, পুরুষ, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবী সবাই নিজ পেশাজীবী সম্প্রদায়কে শ্রেষ্ঠ মনে করেন। লিঙ্গের ভিত্তিতে নারীর চেয়ে পুরুষ শ্রেষ্ঠ, মৌলবাদীরাও তা মনে করেন। তেমনি পুরুষতন্ত্রও নিজেদের শ্রেষ্ঠ প্রমাণ করতে প্রতিযোগিতা করছেন।

মানুষ হিসেবে উন্নত হওয়ার প্রতিযোগিতা থেকে সরে এসেছি আমরা। মৌলবাদের এই সুবিধাবাদী সামাজিকীকরণ অতি নিম্নমানের। তা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। আমি আশাবাদী পুরো সমাজটি এখনও হাতছাড়া ছাড়া হয়নি। সমাজটা পাল্টাতে হলে কী করতে হবে সংশ্লিষ্টরা সবাই তা জানেন। এটি নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা এই ইস্যুতে প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না।

আমাদের এখন যা দরকার তা হলো, সাম্প্রদায়িকতা সমাজের প্রতিটি স্তর থেকে তাড়াতে হবে। এর কোনও বিকল্প আমাদের হাতে নেই। ক্ষমতাসীনসহ সব রাজনীতিকদের ভাবতে হবে কী কৌশলে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যায়।