সমৃদ্ধ দেশ গড়তে তরুণ প্রজন্মকে সচেষ্ট হতে হবে: স্পিকার

আগস্ট ২৫, ২০২২

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, জয় বাংলা স্লোগান ধারণ করে সমৃদ্ধ দেশ গড়তে তরুণ প্রজন্মকে সচেষ্ট হতে হবে।

তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অহংকার, মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের সূর্যসন্তান, তাদের আত্মত্যাগের কারণেই আমাদের সামনে এগিয়ে চলা। তাই মুক্তিযুদ্ধ কেন্দ্রিক সব তথ্য, দলিল সংগ্রহ, সংরক্ষণ করা পবিত্র দায়িত্ব।’

বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) রাজধানী ঢাকার শাহবাগে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব মিলনায়তনে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘জয় বাংলা ধ্বনি’-এর শুভ মহরত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি চলচ্চিত্রটির মহরত অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান এমপি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মকবুল হোসেন এবং বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান বক্তব্য রাখেন। এ. ওয়ান টেলিমিডিয়ার স্বত্বাধিকারী এবং ‘জয় বাংলা ধ্বনি’ চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্যকার, পরিচালক ও প্রযোজক খ. ম. খুরশীদ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র নির্মাণের মধ্য দিয়ে নবীন প্রজন্মকে মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানানোর মাধ্যমে তাদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘‘মুক্তিযুদ্ধকে গভীরভাবে অনুভব করা আমাদের একান্ত দায়িত্ব। মুক্তিযুদ্ধের বিজয়গাথা বিভিন্ন মাধ্যমে সৃষ্টিশীল উপায়ে তুলে ধরার জন্য সরকারি-বেসরকারি অনুদান বা স্পন্সরশিপের মাধ্যমে বিনিয়োগ করা হলে তা পুরোপুরি নতুন প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধকরণে ব্যয় হয়। সুতরাং, এ ধরনের বিনিয়োগের ‘ইমপ্যাক্ট ও রিটার্ন’ অনেক উচ্চ।’ তাই সরকারি-বেসরকারি সব অনুদান বা স্পন্সরশিপকে তিনি স্বাগত জানান।

স্পিকার বলেন, ‘‘মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত ‘জয় বাংলা’ স্লোগান। এই স্লোগানে ভর করেই টুঙ্গিপাড়ার খোকা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পরাধীনতার নাগপাশ ছিন্ন করে আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। তাই ‘জয় বাংলা’ স্লোগানটির উৎপত্তি জানা প্রয়োজন।’ ‘জয় বাংলা ধ্বনি’ চলচ্চিত্রটি সব দেশপ্রেমিক বাঙালিকে সে সুযোগ দেবে বলে তিনি চলচ্চিত্রের কাহিনিকার শাজাহান খানকে ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন, ‘১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারের হত্যার পর মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির প্রচেষ্টা করা হয়েছে। ১৯৮১ সালে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস ও দলিল সংরক্ষণে তৎপর হয়েছেন। তারই নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করেছি।’

বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান এমপি’র কাহিনি অবলম্বনে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্রটির মহরত অনুষ্ঠানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। খবর: বাসস