ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের মামলায় দিপু কুমারের চার বছর কারাদণ্ড

এপ্রিল ২৮, ২০২২

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও মানহানিকর বক্তব্য প্রকাশ এবং প্রচারের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় দিপু কুমার দাস ওরফে শাহরিয়ার দিপু নামের এক ব্যক্তিকে চার বছর কারাদণ্ড হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এই রায় দেন।

আইনজীবী কলিম মৃধা বলেন, ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৮(২) এবং ২৯ (২) ধারার অপরাধে

আসামীকে মোট চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার তদন্তে উদ্ধার হওয়া বইয়ের লেখক মূদ্রণ প্রতিষ্ঠানের নাম তদন্তে উল্লেখ করতে পারেনি, আদালতে বলতেও পারেননি। জব্দ তালিকা যারা তৈরি করেছেন তারা ফৌজদারি কার্যবিধির ১০৩ ধারা যথাযথভাবে অনুসরণ করেননি। ১৬৪ ধারায় নেওয়া দিপুর জবানবন্দি প্রত্যাহার করা হয়েছে। এই মামলায় বাদিসহ মোট ৫জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।আদালত দুটি ধারায় দিপুর চার বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন। আমরা রায়ে সংক্ষুদ্ধ, রায়ের কপি হাতে পেলে আপিল করা হবে। ‘

আসামীর বোনের ছেলে সঞ্জয় কুমার ভদ্র বলেন, ‘তাকে (দিপুকে) ঢাকা মোট্রেপলিটন পুলিশের সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ ২০২০ সালের ২২ নভেম্বর ডেকে নিয়ে যায়। দুইদিন দিন জ্ঞিাসাবাদ করার পর শাহজাহানপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়। আমরা বিষয়টি পরে জেনেছি।  আদালতে বারবার জামিন চেয়েছি জামিন দেওয়া হয়নি।

রায়ের প্রতিক্রিয়ায় সঞ্জয় কুমার ভদ্র বলেন, ‘রায়ে আমরা সংক্ষুদ্ধ। রায়ের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে উচ্চ আদালতে যাবো। ’

ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা মোট্রেপলিটন পুলিশের সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ ২০২০ সালের ২৩ নভেম্বর অভিযান চালিয়ে যাত্রাবাড়ী থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার হওয়া দিপু ফেসবুক পেজ ‘দিয়ার্ষি আরাগ’ ব্যবহার করে বিভিন্ন সময় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগে এমন উস্কানিমূলক পোস্ট ও মানহানিকর বক্তব্য প্রচার করতেন।

এছাড়া তিনি তার এমন বক্তব্যগুলো বই আকারে প্রকাশ করেন। যা পরবর্তী সময়ে হাইকোর্ট নিষিদ্ধ করেন। এ ঘটনায় ২০২০ সালের  ৩ মার্চ তার বিরুদ্ধে রাজধানীর শাহজাহানপুর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা রুজু হয়।