বিশ্বের ক্ষুধা মেটাবে আফ্রিকা !

এপ্রিল ২৪, ২০১৩

10094_042sঢাকা জার্নাল: ক্ষুধাহীন বিশ্ব – তাও কি হয়? হ্যাঁ, আমাদের এই মাটির পৃথিবীতে পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্য উৎপাদন করা সম্ভব৷ কিন্তু সেজন্য কৃষি ক্ষেত্রে সব সম্ভাবনার পূর্ণ সদ্ব্যবহার করতে হবে – যেমন আফ্রিকায়৷

বিশ্বের সব মানুষের ক্ষুধা মেটানোর জন্য ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের খাদ্য উৎপাদন ৬০ শতাংশ বাড়াতে হবে৷ এটা জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংগঠন এফএও-র হিসেব৷ কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর সবচেয়ে বড় সম্ভাবনা আফ্রিকা মহাদেশে৷ সেখানে এখনো অনেক জমি আছে, যা কৃষিকাজের জন্য ব্যবহার করা চলে৷ অন্যদিকে পরিবেশ সংরক্ষণকারীদের ভয়: আফ্রিকার নাজুক পরিবেশকে সুবিস্তীর্ণ কৃষিক্ষেত্রে পরিণত করলে উদ্ভিদ ও বন্যপ্রাণীর বহু প্রজাতি বিলোপ পাবে৷

কাজেই বিশ্বে খাদ্যের উৎপাদন বাড়ানোর আর একটি পন্থা হতে পারে, জমিতে ফসলের পরিমাণ বাড়ানো৷ হেক্টার প্রতি ফসলের বিচারে আফ্রিকার চাষীরা বিশ্বের অন্যান্য এলাকার চেয়ে অনেক পিছিয়ে রয়েছে৷ সেচের ব্যবস্থার উন্নতি করে, কিংবা সেনেগালের মতো পরিকল্পিতভাবে সার ব্যবহার করে আফ্রিকায় ফসলের পরিমাণ দ্বিগুণ করা যায়, বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা৷

গত শতাব্দীর ষাটের দশক যাবৎ আফ্রিকার বহু দেশ তাদের খাদ্য উৎপাদন ব্যাপকভাবে বাড়াতে পেরেছে৷ পূর্ব আফ্রিকার মালাউয়িতে আজ যে পরিমাণ ভুট্টার দানা উৎপন্ন হয়, তা ৫০ বছর আগের তুলনায় পাঁচগুণ বেশি৷ এই পঞ্চাশ বছরে উৎপাদনশীলতা বেড়ে হয়েছে হেক্টার প্রতি দু’টন ভুট্টার দানা৷ এবং ঠিকমতো সার দিতে পারলে সেই উৎপাদনশীলতা বাড়িয়ে হেক্টার প্রতি পাঁচ টন করাও সম্ভব বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা৷

তাহলে কি বিশ্বে খাদ্যাভাব দূর হবে? বুরকিনা ফাসোর রাজধানী উগাডুগুর বাজারে ইতিমধ্যেই ঢালাও পসরা৷ কিন্তু বিশ্বের চাষীরা যদি ভবিষ্যতে সত্যিই আরো বেশি খাদ্য উৎপাদন করতে পারে: সেই খাদ্য ন্যায্যভাবে বণ্টন করার সমস্যাটা থেকেই যাচ্ছে৷

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.