চলে গেলেন লতা মঙ্গেশকর

ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২২

চলে গেলেন উপমহাদেশের বর্ষীয়ান কণ্ঠশিল্পী লতা মঙ্গেশকর। রবিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) মুম্বাইয়ে ৯২ বছর বয়সে চিরবিদায় নিলেন তিনি। কিংবদন্তী এই শিল্পীর মৃতুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ভারতে। লতা মঙ্গেশকরের মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত করেছেন মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এন সান্থানাম।

কোভিড পরবর্তী জটিলতার কারণে মৃত্যু হলো লতা মঙ্গেশকরের, জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এদিন সকাল ৮টা ১২ মিনিটে প্রয়াত হন লতা মঙ্গেশকর। এখন তার মরদেহ শিবাজি পার্কে নিয়ে যাওয়ার আয়োজন করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, সেখানেই শেষ শ্রদ্ধা জানানো হবে লতা মঙ্গেশকরকে।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ১১ জানুয়ারি থেকে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল লতার। অবস্থা অবনতি হলে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। করোনা-মুক্ত হলেও শনিবার তার শারীরিক অবস্থার ফের অবনতি হয়, ভেন্টিলেশনেও দেওয়া হয়েছিল। তবুও বাঁচানো গেলো না। শনিবার লতা মঙ্গেশকরকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে আসেন বোন আশা ভোঁসলে, পৌঁছেছিলেন নাতনি শ্রদ্ধা কাপুরও।

উল্লেখ্য, ১৯২৯ সালে ইন্দোরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন লতা মঙ্গেশকর। সংগীত জগতের অবিসংবাদী সম্রাজ্ঞী হওয়ার আগে শিশু অভিনেতা হিসেবেই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ শুরু করেছিলেন প্রবাদপ্রতিম এই শিল্পী। ১৯৪২ সালে একটি মারাঠি ছবির সৌজন্যে প্রথম গান রেকর্ড করেন তিনি। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। লতার সুরেলা কণ্ঠের জাদুতে বুঁদ থেকেছে প্রজন্মের পর প্রজন্ম। সাত দশকের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ৩০ হাজারেরও বেশি গান রেকর্ড করেছেন তিনি। ২০০১ সালে ভারতের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ‘ভারত রত্নে’ ভূষিত করা হয় লতাকে। এর আগে ‘পদ্মভূষণ’, ‘পদ্মবিভূষণ’-এর মতো নাগরিক সম্মানও দেওয়া হয়েছে লতা মঙ্গেশকরকে। চলচ্চিত্র জগতের সর্বোচ্চ পুরস্কার দাদা সাহেব ফালকে দ্বারাও সম্মানিত হয়েছেন তিনি।