স্কুলশিক্ষিকার শরীরে আগুন দিয়ে পালিয়েছে স্বামী

জানুয়ারি ৬, ২০২২

রাজশাহী নগরীতে ফাতেমা খাতুন নামে এক স্কুলশিক্ষিকার শরীরে আগুন দিয়ে পালিয়েন স্বামী সাদিকুল ইসলাম। এতে স্কুলশিক্ষিকার মুখমণ্ডল ও হাত-পা মারাত্মকভাবে দগ্ধ হয়েছে।

বুধবার (০৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১টার দিকে নগরীর বুলনপুর ঘোষপাড়া এলাকায় স্বামীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে। ওই রাতেই  তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করেন স্বজনরা। ফাতেমা খাতুন মহানগরীর মহিষবাথান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

দগ্ধ ফাতেমা খাতুন জানান, পারিবারিক কলহকে কেন্দ্র করে ​সাদিকুল ইসলাম তার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে পালিয়ে গেছেন।

এ ঘটনায় দগ্ধ ফাতেমা খাতুনের ভাই আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে নগরীর রাজপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ২০ বছর আগে সাদিকুল ইসলামের সঙ্গে আমার বোনের বিয়ে হয়। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। মেয়ে এবার এসএসসি পাস করেছে। ছেলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। আর দীর্ঘদিন ধরে সাদিকুল বেকার। বোনকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো। দুই সন্তান ও পরিবারের কথা ভেবে সবকিছু সহ্য করে আসছিলেন ফাতেমা। বুধবার রাতে পারিবারিক বিষয় নিয়ে বাগবিতণ্ডা হলে ফাতেমার গায়ে আগুন দেয় সাদিকুল।

রাজশাহী মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের বিভাগীয় প্রধান আফরোজা নাজনীন বলেন, স্কুলশিক্ষিকার শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তার শ্বাসনালি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এখন তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

রাজপাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাইদুল ইসলাম বলেন, এই ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে সাদিকুল পলাতক রয়েছেন। তাকে ধরতে মাঠে নেমেছে পুলিশ।